যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যু হওয়ায় ন্যায়বিচার সম্পন্ন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অ্যাক্টিভিস্ট নাদিয়া মুরাদ। ইরাকে তিনমাস আইএসের কাছে বন্দি থাকা এই নারী বলেন, এই মৃত্যু আইএসের হত্যাকা-ের বিচার হিসেবে যথেষ্ট ছিলো না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন সিরিয়ার ইদলিবের তুরস্ক নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্সের এক অভিযানে আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যমের ধারাবাহিকতায় হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকেও রবিবার দাবি করা হয়, শনিবার মার্কিন অভিযান চলাকালে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন বাগদাদি। তবে স্বাধীন কোনও সূত্র থেকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাশিয়া এরইমধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। নাদিয়া মুরাদ বলেন, আমরা বাগদাদির মতো আইএস জঙ্গির শুধু মৃত্যুই চাই না। আমরা ন্যায়বিচার চাই। জাতিসংঘ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বেশ কয়েকজন ইয়াজিদির সঙ্গে বাগদাদির মৃত্যুর ব্যাপারে কথা বলেছেন তিনি। নাদিয়া বলেন, বাগদাদির মৃত্যু হলো। কিন্তু আইএসের? তাদের কাছে এখনও আমাদে মেয়েরাবন্দি। নাদিয়া বলেন, এখনও বাগদাদির মতো হাজার হাজার আইএস জীবিত রয়েছেন এবং যেকোনও কিছুর জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। আমরা আরও পদক্ষেপ দেখতে চাই। আমরা ন্যায়বিচার চাই। ২৫ বছর বয়সী নাদিয়া মুরাদ শান্তিতে নোবেল পাওয়া দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি। ইয়াজিদি তরুণী নাদিয়া সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে নিজেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং অন্য ধর্ষণের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। ২০১৪ সালের আগস্টে জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর সদস্যরা ইরাকে অন্য ইয়াজিদি নারীদের সঙ্গে নাদিয়া মুরাদকেও অপহরণ করেছিল। সিনজারের কোচো থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়। আইএস-এর সদস্যরা নাদিয়ার ছয় ভাই ও মাকে হত্যা করেছিল। তার বোনদেরকেও অপহরণ করে আইএস। ধর্ষণের শিকার হওয়া ও অন্যদের ধর্ষণের শিকার হতে দেখা এ নারী সাহসীভাবে সেই সহিংসতার কথা বর্ণনা করেছিলেন। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন