কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বাংলাদেশ চাইলে সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারত যেকোনো ধরনের সহযোগিতায় প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানী ঢাকার গোপীবাগে রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শনের সময় ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এ কথা বলেন। এসময় তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের নিরাপত্তা জোরদার করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ধর্মীয় উগ্রতা মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবো আমরা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, এখানকার কর্তৃপক্ষ শুধু ঢাকায় রামকৃষ্ণ মিশন নয়, বাংলাদেশের ৪০টি কেন্দ্রের লোকজনদের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। এ ব্যাপারে আমাদের আস্থা আছে। তবে হুমকির পরপরই পুলিশ ও বাংলাদেশ সরকার তাৎক্ষণিকভাবে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। কাজেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তাতেও আমরা সন্তুষ্ট।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সন্ধ্যায় হত্যার হুমকি দিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনে একটি চিঠি আসে। ওই চিঠির ওপরের অংশে কম্পিউটার টাইপে লেখা ‘ইসলামিক স্টেট অব বাংলাদেশ, চান্দনা চৌরাস্তা, ঈদগাঁও মার্কেট, গাজীপুর মহানগর’। প্রেরকের নাম এ বি সিদ্দিক। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘তোমরা হিন্দু। বাংলাদেশ একটি ইসলামি রাষ্ট্র, এ দেশে ধর্ম প্রচার করতে পারবে না। তোমরা ভারতে যাও। নাহলে তোমাদের কুপিয়ে হত্যা করা হবে।’
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, হুমকির ঘটনার পর থেকেই ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ ও মিশনের সম্পাদক স্বামী ধ্রুবেশানন্দ সাংবাদিকদের বলেন, হুমকির চিঠি পাওয়ার পরপরই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স পাঠিয়ে দিয়েছে। থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেছে। ওই ঘটনার পর থেকে মিশনের আশপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের পর খাতায় নাম-পরিচয় লিপিবদ্ধ করে লোকজনের রামকৃষ্ণ মিশনে প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করছে। পুলিশের নেয়া পদক্ষেপের পর আমরা নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি।
শ্রিংলার সঙ্গে এ সময় ছিলেন হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রামকৃষ্ণ মিশনের শীর্ষ ধর্মগুরুরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন