‘বিএনপি-জামায়াতের সময়ে যখন দেশে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার উত্থান ঘটেছিল, সেই বিশেষ বাস্তবতায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে পার্টির ঐক্য গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। সেই বাস্তবতা এখনো শেষ হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি বাংলাদেশ গড়ার জন্য এই ঐক্যের এখনো প্রয়োজন আছে।’- আওয়ামী লীগের সঙ্গে এখনও ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টির দশম কংগ্রেস শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে প্রধানমন্ত্রীর পাশে ওয়ার্কার্স পার্টি রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে ওয়ার্কার্স পার্টি লড়াই করবে।’
এই কংগ্রেস থেকে ফিরে গিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা-কর্মীরা পার্টিকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করে তুলবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
বাদশা বলেন, আমরা কারও ঘাড়ে হাত রেখে রাজনীতি করব না। কারও ছায়াতলে আমরা রাজনীতি করব না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজস্ব সংগ্রাম ও দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে রাজনীতি করব।' যারা ওয়ার্কার্স পার্টি ছেড়ে গেছেন তারা ‘আত্মপ্রবঞ্চনার রাজনীতি করছেন’ বলেও মন্তব্য করেন বাদশা।
এর আগে কংগ্রেস বর্জনের ডাক দেন পার্টির ছয় নেতা। এর মধ্যে দুজন পলিটব্যুরোর সদস্য। বাকি চারজন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। চীন, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনামসহ ৫৭টি দেশের বামপন্থী ও কমিউনিস্ট পার্টির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ওয়ার্কার্স পার্টি।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া পার্টির দশম কংগ্রেস উপলক্ষে শুভেচ্ছা বাণী পাঠিয়েছে দেশগুলো। কংগ্রেস শেষ হবে ৫ তারিখে। দশম কংগ্রেসে ৫৮ জেলা থেকে সাড়ে ৭০০ প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন বলে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা জানান। ২০০৮ সালের ৭ অগাস্ট ওয়ার্কার্স পার্টির নবম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন