শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার তেলের লোভ ছাড়তে পারছে না : রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫০ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সিরিয়ার তেলের মায়া ছাড়তে না পারার অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সিরিয়ায় আইএস বিরোধী যুদ্ধে মার্কিন উদাসীনতার সমালোচনা করে বলেছেন, ওয়াশিংটন শুধু দেশটির তেল ক্ষেত্রগুলোর দিকেই যাবতীয় দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত করেছে।
‘রাশা২৪’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে সিরিয়ার তেল বাইরে পাচার করে দিচ্ছে। তেল চোরাচালানের অর্থ দিয়ে তারা দেশটিতে নিজেদের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে লালন-পালন করছে। তারা এখন নিজেদের নিয়ন্ত্রিত তেল ক্ষেত্রগুলোতে সিরিয়ার সরকারকেও প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
এর আগে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা শনিবার বলেছিলেন, মার্কিন সরকার সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে নিজের নিয়ন্ত্রিত এলাকার তেল চুরি করে মাসে তিন কোটি ডলার অর্থ আয় করছে।
সম্প্রতি সিরিয়ার তুরস্ক নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে আইএস প্রধান বাগদাদি নিহত হওয়ার বিষয়েও কথা বলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।
সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আগ্রাসনের পরই আইএসের উত্থান। অনেক আইএস জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছে ওয়াশিংটন। ফলে এমনটা হতেই পারে যে, তাদের তৈরি করা কোনও সন্ত্রাসীকে সরিয়ে দিয়েছে তারা।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বাগদাদির মৃত্যুর ব্যাপারে আরও তথ্য চান তারা। তিনি বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী অনেক বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের দাবির সত্যতা আমরা এখনও নিশ্চিত করতে পারছি না।
ইতোপূর্বে আরও কয়েকটি সূত্র থেকে বাগদাদির নিহত হওয়ার খবর দেওয়া হয়েছিল। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওলেগ সিলোমলোটভ জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সালের মে মাসের শেষ দিকে সিরিয়ার রাকা শহরের কাছে রাশিয়ার বিমান হামলায় ‘খুব সম্ভবত’ বাগদাদি নিহত হয়েছেন। এছাড়া, লন্ডনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসও নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে বাগদাদীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। পাশাপাশি আইএস-এর কথিত বার্তা সংস্থা আমাক এজেন্সিও ইতোপূর্বে বাগদাদির মৃত্যুর খবর প্রচার করেছিল। সূত্র: পার্স টুডে, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন