প্রতিবেশী ফুফু’র বাড়িতে রান্না করা তরকারী নিয়ে যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক ১২ বছরের কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের বড় গাড়া গ্রামে।
ভিকটিমের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বড় গাড়া গ্রামে ১২ বছরের ওই কিশোরী রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারই প্রতিবেশী ফুফু’র বাড়িতে রান্না করা তরকারী নিয়ে যাওয়ার পথে একই গ্রামের রব্বানী মিয়ার ছেলে বখাটে রুহুল আমিন (২০) তার অপর সহযোগী খোকন মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়ার (২০) সহযোগিতায় তাকে জোর পূর্বক ধরে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষিতার আর্ত-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরকে উদ্ধার করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সোমবার সকালে কিশোরীর অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
ধর্ষিতা কিশোরীর মামা জানান, আমার ভগ্নিপতি খুবই গরীব মানুষ। চিকিৎসা ব্যায় বহনের মতো টাকা হাতে না থাকায় মেয়েকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে যেতে পারছে না।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নাজমুল হাসান জানান, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষিতা কিশোরীর এখনো ব্লিডিং হচ্ছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে রুহুল আমিন ও স্বাধীন মিয়াকে আসামী করে সোমবার নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ৮(১১)১৯।
ঘটনার খবর পেয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ রবিবার রাত ১২টার দিকে নেত্রকোনা বড় স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার মূহুর্তে অভিযুক্ত রুহুল আমীন ও তার সহযোগী স্বাধীন মিয়াকে আটক করে। তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার বিকালের দিকে আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন