সউদী আরব হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যে, ইকামার শর্ত ও শ্রমবিধি লঙ্ঘনকারী বিদেশী কর্মীরা জেল ও জরিমানার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
সউদী জেনারেল পাসপোর্ট অধিদফতরের এক বিবৃতিতে সোমবার কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে যে, যিনি ইকামার শর্ত ও শ্রমবিধি লঙ্ঘনকারী শ্রমিকদের পরিবহন পরিষেবা দেবেন বা বিদেশী শ্রমিক নিয়োগ করবেন তারা কারাদন্ড বা জরিমানার মুখোমুখী হবেন। তিনি আরো বলেন, ‘যে কেউ তাদের আশ্রয় দেবে বা সরবরাহ করবে তাদের ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ড এবং ১ লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে’।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘যদি অপরাধী প্রবাসী হয় তবে তাকে সউদী আরব থেকে নির্বাসন দেয়ার ঝুঁকি থাকবে এবং অপরাধী বিদেশী কর্মীদের সংখ্যা অনুসারে জরিমানা ও কারাদন্ড দ্বিগুণ হবে।’
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের জেনারেল অধিদপ্তর আরো ইঙ্গিত দিয়েছে, ‘প্রতিষ্ঠানের মালিকরা, যারা তাদের ইকামা এবং কাজের বিধি লঙ্ঘনকারী বিদেশী শ্রমিক নিয়োগ করেন তারাও একই রকম অপরাধ করছে এবং তাদের জরিমানাও হবে ১ লাখ সউদী রিয়াল। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ বছরের জন্য বিদেশী শ্রমিক নিয়োগের নিষেধাজ্ঞায় পড়বে এবং রাষ্ট্রের দ্বারা তারা কুখ্যাত ঘোষিত হবে। অধিকন্তু, সংস্থার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পরিচালককে এক বছরের কারাদন্ড এবং প্রবাসী হলে তাকে নির্বাসন দেয়া হবে। জরিমানার অঙ্ক অপরাধের ধরনের ওপর নির্ভর করবে’।
বিবৃতিতে নাগরিক এবং বাসিন্দাদেরকে বহিরাগতদের বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে রিপোর্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রদত্ত অ্যাশার অ্যাপস পরিষেবার মাধ্যমে নিয়োগকর্তা অনলাইনে গৃহকর্মীর অনুপস্থিতিতে (পলায়ন রিপোর্ট) রিপোর্ট করতে পারবেন।
সউদী পাসপোর্ট অধিদফতরের জেনারেল ব্যাখ্যা করেন যে, নিয়োগকর্তা অ্যাশার অ্যাপ্লিকেশনে সাবমিট করা পালানোর রিপোর্ট বাতিল করতে পারবেন না। তবে, অভিযোগ জমা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তাকে প্রবাসীদের পরিচালনা পর্যালোচনা করা দরকার। সুতরাং রিপোর্ট জমা দেয়ার পর কোন বিদেশী ধরা পড়লে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত জরিমানা, অর্থাৎ ৫০ হাজার সউদী রিয়াল জরিমানা, নির্বাসন ও স্থায়ীভাবে সউদীতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সাথে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ড তার বিরুদ্ধে কার্যকর করা হবে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন