মার্কিন অভিযানে নিহত আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদীর স্ত্রীর কাছ থেকে জঙ্গি সংগঠনটির ‘অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ’ সম্পর্কে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটির গোয়েন্দারা জানিয়েছে, ধৃত ওই মহিলা নিজেকে রানিয়া মেহমুদ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তার প্রকৃত নাম আসমা ফাওজি মহম্মদ আল-কুবায়সি। তিনি বাগদাদীর ‘প্রথম স্ত্রী’ বলে জানা গিয়েছে।
তুরস্ক জানিয়েছে, সিরিয়ার সীমান্তবর্তী হাতাহ প্রদেশ থেকে ২০১৮ সালের ২ জুন গ্রেফতার করা হয় বাগদাদীর স্ত্রীকে। তার সঙ্গে আরও ১০ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিলেন বাগদাদীর মেয়েও। তিনি নিজেকে লীলা জাবির বলে পরিচয় দিয়েছেন। তুরস্কের এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাগদাদী হত্যার পরে তার ডিএনএ পরীক্ষা করে পারিবারিক যোগসূত্র নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা তার (স্ত্রী) পরিচয় খুব তাড়াতাড়িই জানতে পেরেছি। এই মুহ‚র্তে নিহত বাগদাদী ও আইএসের গতিবিধির বিষয়ে প্রচুর তথ্য তার কাছ থেকে জানা যাচ্ছে।’
বুধবারই প্রথম বাগদাদীর স্ত্রীকে আটক করার খবর জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই আইএস সম্পর্কে যা জানি তা ঠিক কী না নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা নতুন অনেক তথ্য পাচ্ছি। যে সূত্র ধরে আইএসের সঙ্গে যুক্ত আরও অনেককে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’ সোমবার উত্তর সিরিয়ার আজাজ শহরের কাছে বাগদাদীর বড় বোন রেশমিয়া আওয়াদকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছিল তুরস্ক। গ্রেফতার হন তার স্বামী, পাঁচ ছেলেমেয়েও। আইএস নেতার পরিবারের ঘনিষ্ট সদস্যদের গ্রেফতার তুরস্কের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ক্ষেত্রে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে এরদোগান সরকার।
সূত্র : সিবিএস নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন