লার্নিং বাই ডুয়িং হোক শিক্ষার ভিত্তি- এই স্লোগানে ঢাকাসহ সারাদেশে উদযাপন করা হয়েছে গণপ্রকৌশল দিবস-২০১৯। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানটির ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান ও গণপ্রকৌশল দিবস-২০১৯ উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি মানুষ কাজ করছে। বাংলাদেশ একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ। সেখানে আমাদের দেশে দু’টি শ্রেণিতে কয়েক লাখ বিদেশি কাজ করছে। একটি হলো শীর্ষ নির্বাহীতে, আরেকটি হলো দক্ষ জনশক্তিতে। এটি তো হওয়ার কথা ছিল না। কারণ আমাদের দেশের যেসব খাতে বিদেশিরা কাজ করছে, সেসব খাতে দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাই আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানোর ে চয়ে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়ানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রিতে ইন্টার্নশিপে কারিগরি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। যাতে পাস করে দক্ষ হয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারে। তাহলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন, সেটি পূরণে সক্ষম হবো। প্রকৃত দেশ গড়তে হলে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নাই। এখন উচ্চ মাধ্যমিক পাসের যোগ্যতার চাকরির জন্য গ্রাজুয়েটরা আবেদন করেন।
বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, শিল্পায়নের জন্য দক্ষ মানবশক্তির যোগান দিতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নাই। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার জন্য বঙ্গবন্ধু আমাদের যে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সেই দিক নির্দেশনা তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রায়োগিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। আইডিইবির সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্যে আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামসুর রহমান বলেন, আইডিইবির ৭৫ শতাংশ কার্যক্রম পরিচালিত হয় দেশ ও মানুষের কল্যাণে। পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে গণপ্রকৌশল দিবস এবং আইডিইবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে তথ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী। পরে আইডিইবি থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন