দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে কক্সবাজার সাগর পাড়ের ঝাউবাগানে তাবলীগ ইজতিমা মাঠে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন লাখো মুসল্লি। মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শনিবার দুপুরে শেষ হবে এই ইজতিমা।
মুসল্লিদের কণ্ঠে আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মূখরিত হয়ে ওঠে গোটা সৈকত এলাকা। ৩ দিনব্যাপী ইজতেমার ২য় দিনেই ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ইজতিমায় আগত মুসল্লিরা উপচে পড়েছে গোটা সৈকত এলাকায়। শনিবার দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে জেলা ইজতেমা শেষ হবে। আয়োজকরা জানান, আম বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার আখেরি মোনাজাত জোহর নামাজের আগেই অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও তাবলীগ জামাতের কক্সবাজার জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের ইজতেমায় কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তাবলীগ জামাতের মুরুব্বি, আলেম-ওলামা ও সাথীদের তত্ত্বাবধানে লক্ষাধিক মুসল্লির সমাবেশ হয়।
তাবলীগ জামাতের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা কাকরাইলের মুরুব্বীসহ কক্সবাজার তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীরা ইজতেমায় উপস্থিত থেকে বয়ান করছেন।
পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, ইজতেমা শেষ পর্যন্ত মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। ইজতেমায় আসা কয়েকজন মুসল্লি বলেন, ইজতেমার উদ্দেশ্য মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা, তাবলিগে যাওয়ার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, এবং তাবলিগ জামায়াতে সময় দেয়া। নামাজ-দোয়া ও আমল আখলাককে পরিশুদ্ধ ও শিক্ষা নিতে এখানে এসেছি।
ইজতেমা ময়দানে মুরব্বিরা আম বয়ানে বলেন, যিকির মানুষের মনের সকল পাপ দূর করে। শুদ্ধ যিকিরের মাধ্যমে মুুমিনের ক্বলবকে তরতাজা রাখতে হবে। মুসল্লিমদের জন্য পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। কাল হাশরের ময়দানে সর্ব প্রথম নামাজের হিসাব নিবে। প্রত্যেক মুসলমানকে ইমানের সহিত নামাজ আদায় করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন