বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মিসরে আনন্দ উৎসবে রোজা পালন

প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দেশে দেশে মাহে রমজান
ইনকিলাব ডেস্ক : আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হওয়ার চেষ্টা করার সুযোগ এনে দেয় পবিত্র মাহে রমজান। ক্ষুধা-তৃষ্ণা নেই আল্লাহর, লোভ-লালসাও নেই তার, মিথ্যাচারও নয় তার স্বভাব। সূরা ইমরানে আছে, ‘অসত্য ভাষীদের ওপর আল্লাহর অভিশম্পাত।’ মহানবী (সা.) বলেছেন, সত্যবাদিতা সততার পথ দেখায়। রমজানের রোজা সত্যাশ্রয়ী হওয়ার জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। সত্যাশ্রয়ী হওয়ার জন্য দেশে দেশে মুসলমানগণ রোজা পালনসহ বিভিন্ন এবাদত ও আল্লাহকে রাজি খুশির সাধনায় ব্যস্ত পবিত্র এ মাহে রমজান মাসে। এটি আত্মশুদ্ধির মাস। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব রকম পানাহার থেকে বিরত থাকেন রোজাদাররা। প্রাকৃতিকভাবে সূর্যের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ও দেশে রোজা রাখার সময় কম-বেশি হয়। দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় এই সময়। এ কারণেই সময়ের তারতম্য হয়ে থাকে। কোথাও ২২ ঘণ্টা আবার কোথাও ১০ ঘণ্টারও কম। চলতি বছরে গত ৩০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিয়াম পালন করতে হবে সুমেরীয় অঞ্চলের মুসলমানগণকে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে এবার ২০ ঘণ্টার বেশি সময় তাদের রোজা পালন করতে হচ্ছে। অথচ শীতকালে এ অঞ্চলের মুসলিমদের সিয়াম সাধনা করতে হয় মাত্র আট ঘণ্টার মতো। অন্যদিকে আমাদের বাংলাদেশে রোজার সময় হবে প্রায় ১৫ ঘণ্টা। যুক্তরাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় উপোস থাকতে হবে স্কটিশ হাইল্যান্ডস ও আয়ল্যান্ডের বাসিন্দাদের। এখানে সূর্য অস্ত যায় না বললেই চলে।
আফ্রিকা মহাদেশের একটি দেশ মিসর। রমজানে এখানে অফিসের কর্মঘণ্টা কমানো হয় যাতে সিয়াম পালনকারীরা মসজিদে ইবাদতে পর্যাপ্ত সময় পান। দিনের কাজকর্ম করে তারা রাতে কিয়ামুল লাইল, তারাবি এবং কোরআন তিলাওয়াত করে কাটিয়ে দেন। জোহরের সালাতের পর থেকে ‘বাজারের শহর’ নামে খ্যাত রাজধানী কায়রো শহরের অলিগলিতে ঢাকার চকবাজারের ন্যায় ছড়িয়ে পড়ে হরেক রকম ইফতারের আয়োজন। ইফতারে ঐতিহ্যবাহী পানীয় ‘শরবত কামার আল দীন’ সব বয়সীরা পান করে থাকে। মরুভূমির এই দেশে ইফতারিতে খেয়ে থাকে ‘কানাফা’ নামক পিঠা যা আটা, বাদাম, মধু, কিসমিস ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। আরেক ধরনের গোলাকার ছোট পিঠা ‘তায়েফ’ তাতে বাদাম ও কিসমিস বেশি থাকে তাও খেয়ে থাকেন। মিসরীয় শিশুদের কাছে রমজান মাসটি সবচেয়ে বেশি আনন্দময়। তারা এ সময় আমাদের দেশের বাচ্চাদের মতো পিতা-মাতার কাছে সিয়াম রাখার জন্য দাবি জানায়। মিসরের মুসলমানরা ইফতার করেন আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাসায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন