বাংলাদেশ উপকুলে প্রকৃতির রুদ্র রোষে গত দুই শতকে অন্তত ২৫ লাখ মানুষের প্রানহানী ঘটেছে। সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অন্তত ১০ লাখ কোটি টাকা। এরপরেও প্রকৃতির সাথেই লড়াই করেই বেঁচে আছে দেশের উপকুল সহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষ। একের পর এক প্রকৃতির তান্ডব অব্যাহত থাকলেও এখনো দুর্যোগের হাত থেকে উপকুলবাসীর নিরাপদ আশ্রয় সহ প্রাণিসম্পদ রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হয়নি। যদিও আগাম সতর্কতার কারণে প্রাণহাণীর সংখ্যা আশাব্যঞ্জকভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। যা গোটা বিশে^র কাছে একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ইতোমধ্যে। তবুও এখনো উপকুলভাগে এ পর্যন্ত যে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র সহ প্রাইমারী স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার ও ইউপি কমপ্লেক্স সমূহ নির্মিত হয়েছে, সেখানে দশ লাখ লোকের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করা যায়নি। উপরন্তু উপকুলভাগের এক কোটিরও বেশী গবাদিপশু সহ হাঁস-মুরগির আশ্রয়ের বিষয়টি এখনো অনেকটাই উপেক্ষিত। এমনকি ’৭০-এর ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ‘হেরিকেন’এর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে স্বাধীনতার পরে ভোলা, পটুয়াখালী ও নোয়াখালী এলাকায় যে শতাধিক ‘মুজিব কেল্লা’ বা মাটির কেল্লা নির্মিত হয়েছিল, প্রয়োজনীয় রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে বিগত প্রায় ৫০ বছরে তাও অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। তবে সরকার সম্প্রতি পুনরায় এ ধরনের কিল্লা নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের দক্ষিন সীমানা জুড়ে বিস্তীর্ণ জলরাশির সঞ্চালন সুনীল ঢেউ-এর মাথায় যে রূপালী উর্মিমালা আলিঙ্গন করছে, বিশ্ব মানচিত্রে তা-ই বঙ্গোপসাগর। পৃথিবীর অন্য সব সাগরের মতই প্রকৃতির সব লীলার সঙ্গিনী হয়ে মেতে আছে আমাদের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এ বঙ্গোপসাগরও। প্রকৃতির সাথে বঙ্গোপসাগরের বিচিত্র লীলার যে ভয়ঙ্কর রূপ, তার অস্তিত্ব অনুভব করতে গিয়ে বাংলাদেশের উপকুলবাসীকে বার বারই চরম মূল্য দিতে হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপ পরবর্তি পর্যায়ে যা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ ধরে ছোবল হানে। সে প্রকৃতির তান্ডব এদেশের উপকুলবাসীকে বার বারই বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।
দেশের প্রকৃতিক দূর্যোগের একাধিক ইতিহাস পর্যালোচনা করে যে ভয়ঙ্কর তথ্য পাওয়া গেছে, তা অনেকটাই লোমহর্ষক। উপনিবেসিক আমলে ১৬৯৯ সালে তৎকালীন অবিভক্ত সুন্দরবনের সাগরদ্বীপের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে দুই বাংলার অর্ধ লক্ষাধিক আদম সন্তানের প্রাণহানী ঘটে। এ ঝড়ের সাথে প্রায় ২৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ¡াসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় আরো অগনিত আদম সন্তানকে। ১৭৬০ সালে গোটা সুন্দরবন এলাকার ওপর দিয়ে আরেক ঘূর্ণিঝড়ে প্রানহানীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ হাজার। প্রকৃতির ঐ ছোবলের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে গোটা সুন্দরবন লন্ডভন্ড হয়ে যাবার সাথে পুরো এলাকা জনবসতিহীন হয়ে পড়ে। তবে ঐ ঝড়ে সুন্দরবন ও সন্নিহিত এলাকার বেঁচে থাকা মুষ্টিমেয় মানুষ তৎকালীন ২৪ পরগনা জেলায় আশ্রয় নিলেও ভয়াবহ তান্ডবের সে ঝড়কে মুলত সুন্দরবনই প্রতিহত করেছিল। ফলে উপকুলে আরো বিপুল জানমাল রক্ষা পায় । পাঁচ বছর পরে ১৭৬৫ সালে চট্টগ্রাম উপকুলে আঘাত হানা অনুরূপ এক ঘূর্ণিঝড়ে ঐ এলাকার জনবসতি পর্যন্ত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। প্রাণহানির সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও তা ছিল ৪০ হাজারের ওপরে। ১৭৬৭ সালে তৎকালীন পূর্ব বাংলার উপকুলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সাথে প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাস ও ভূমিকম্পে আরো প্রায় ৪০ হাজার মানুষের প্রাণহানী ঘটে। জীবতদের প্রায় সকলেই হয়ে পড়েন আশ্রয়হীন। তাদের অন্ন-বস্ত্রেরও কোন সংস্থান ছিলনা দীর্ঘদিন। ১৭৯৭ সালেও চট্টগ্রাম অঞ্চলে আরেক ঘূর্ণিঝড়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।
প্রকৃতির তান্ডব কখনোই থেমে থাকেনি। ১৮২২ সালে বর্তমান বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা আরেক প্রলয়ঙ্কারী ঝড়ে প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষের প্রাণহানী ঘটে। ১৮৩১ সালে অনুরূপ ঝড়ে বরিশাল অঞ্চলে আরো ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ঠিক দু বছর পরে ১৮৩৩ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘হেরিকেন’র রূপ নিয়ে উভয় বাংলার উপকুলে আছড়ে পড়লে সুন্দরবন তা প্রতিহত করলেও বনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঐ ঝড়ে সুন্দরবনের কারনে বৃহৎ খুলনা ও ২৪ পরগনার জনবসতি রক্ষা পেলেও প্রাণহানীর সংখ্যা ছিল অগনিত। ১৮৬৪ সালের আরেক ঘূর্ণিঝড়ে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপে প্রায় ৮ হাজার মানুষের প্রাণহানী ঘটে। ১৮৬৭ সালে বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা আরেক ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবন থেকে উত্তরে পাবনা পর্যন্ত একের পর এক জনবসতি লন্ডভন্ড করে দেয় । মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫ হাজার। ১৮৭২ সালে কক্সবাজার উপকুলে, ১৮৭৬ সালে ভোলাÑমনপুরা, হাতিয়া ও স›দ্বীপ উপকুলে এবং ১৮৯৫ সালে সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাট উপকুলে ৩টি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হলেও তার সঠিক পরিসংখ্যান জানা যায়নি। এমনকি বাগেরহাট উপকুলে আছড়ে পরা ঐ ঘূর্নিঝড়Ñজলোচ্ছাসের সাথে ভূমিকম্পেও কেঁপে ওঠে জনপদ। কুতুবদিয়া উপকুলে ১৮৯৭ সালে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হেরিকেন-এর রূপ নিয়ে আঘাত হানলে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে।
বঙ্গোপসাগর থেকে শতাব্দী পর শতাব্দী ধরেই ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় আমাদের উপকুলের ভুখন্ড সহ বিপর্যস্ত করে দিয়েছে অর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা সহ কৃষি-অর্থনীতিকেও। ১৯১৯ সালে বৃহত্তর বরিশাল উপকুল থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত ছোবল হানা ঘূর্ণিঝড়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৯৬০ সালে ৯ ও ১০ অক্টোবর সাগর থেকে উঠে আসা আরেক ঘূর্ণিঝড় বিশাল জলোচ্ছাস নিয়ে নোয়াখালীÑহাতিয়া উপকুলে আঘাত হানে। সে ঝড়ে স্বজনহারাদের কান্না থামার আগেই ঠিক কুড়ি দিন পরে ৩১ অক্টোবর বৃহত্তর নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রাম উপকুলে আরো বেশী তীব্রতার একটি ঝড় আঘাত হানে। স›দ্বীপ সংলগ্ন মেঘনা মোহনা হয়ে কর্ণফূলী মোহনা পর্যন্ত ঐ ঝড়ের তান্ডবে ১০ সহস্রারাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। চট্টগ্রাম বন্দর ও বর্হিনোঙরের বহু নৌযান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এক বছর পরে ১৯৬১ সালে ভোলা ও ল²ীপুর-এর মধ্যবর্তি মেঘনা মোহনা ধরে আছড়ে পড়া দেড়শ কিলোমিটার বেগের ঘূর্ণিঝড়ের সাথে প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাসে ১০ সহ¯্রাধিক মানুষের প্রাণপ্রদীপ নিভে যায়। সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ায় নিকটজনের লাশের সন্ধানও পায়নি অনেকে।
১৯৬৩ সালের মে মাসে আরেক ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় স্বদ্বীপ থেকে কুতুবদিয়া-মাতারবাড়ী-মহেশখালী হয়ে কক্সবাজার উপকূল। ১৫ হাজার আদম সন্তানের মৃত্যু ছাড়াও প্রায় ১ হাজার বর্গমাইল এলাকার জনবসতিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। গৃহহীন হয়ে পড়ে উপকুলের প্রায় তিন লাখ মানুষ। ঝড়ে আড়াই লাখ একর ফসলী জমি লবনাক্ত হয়ে পড়ে। প্রায় ১ লাখ গবাদীপশুর মৃত্যু ঘটে। মৃত মানুষ আর গবাদীপশুর শব দাফন দুরহ হয়ে পড়ায় গোটা এলাকার পরিবেশ সহ মানবিক বিপর্যয় ঘটে। ১৯৬৫’র মে ও ডিসেম্বর মাসে উপকুলে দু দফায় আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে ২৫ হাজার মানুষের প্রানহানী ঘটে। গৃহহীন হয় আরো ৫০ হাজার মানুষ। ’৬৬ সালে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার বেগে উপকুলের ৪টি জেলায় আরেক ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
তবে গত দু শতাব্দীর ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ছিল ১৯৭০-এর ১২নভেম্বরের কালো রাত্রীতে। ঐ রাতে প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাস নিয়ে সাগরের ভরা জোয়ারে ভর করে ঘূর্ণিঝড় ‘হেরিকেন’ প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার বেগে বর্তমান বরিশাল বিভাগ ছাড়াও বৃহত্তর নোয়াখালী উপকুলে হামলে পড়েছিল। ইতিহাসের ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানীর সংখ্যা ছিল সর্বকালের সর্বাধিক-প্রায় ৫ লাখ। ১২ নভেম্বর কালো রাত্রিতে আঘাত হানা ঐ ঝড়ে প্রতিটি পরিবারেরই কোন না কোন সদস্য নিহত বা নিখোঁজ হয়েছিলেন। ইতিহাসের মর্মন্তুদ ঐ প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি আজো ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষ। ১৯৮৫ সালের ৫ মে রাতে ভেলার পূর্ব তীর থেকে ল²ীপুর-হতিয়া ও স›দ্বীপ উপকুলে ১৪০ কিলোমিটার বেগের এক ঝড় আছড়ে পরে। প্রকৃতির ঐ তান্ডবলীলায় ৫ সহ¯্রাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরো দেড় লাখ মানুষ। সর্বাধীক ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ছিল স›দ্বীপের উড়িরচর এলাকা। ঝড়ে প্রায় একলাখ ঘর-বাড়ী বিধ্বস্ত হয়। ’৮৮সালে সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটÑখুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার উপকুলভাগে প্রায় ২শ কিলোমিটার বেগের ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। সম্প্রতিক কালের ভয়াল ঐ ঘূর্ণিঝড়কেও প্রতিহত করে সুন্দরবন। গোটা বনের ব্যপক ক্ষতি হলেও রক্ষা পায় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা শহর সহ বিশাল জনবসতি।
১৯৯১-এর ২৯ এপ্রিল রাতে আরেক ভয়াল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে চট্টগ্রাম থেকে ভোলা উপকুল হয়ে পটুয়াখালী পর্যন্ত। ইতিহাসের আরেক ভয়াবহ ঐ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহত হয় প্রায় দেড় লাখ আদম সন্তান। তবে ঝড়ের আগাম প্রস্তুতির কারনে প্রানহানীর সংখ্যা ’৭০-এর ঝড়ের চেয়ে কম ছিল। প্রায় ২৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাস নিয়ে আঘাত হানা ভয়াল ঐ ঘূর্ণিঝড়ে প্রানহানী ঘটে ১১ লক্ষাধীক গবাদী পশুর। প্রত্যক্ষ ও পরক্ষোভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় উপকুলের প্রায় ৩০ লাখ মানুষ।
২০০৮-এর ১৫ নভেম্বর রাতে ২৫৪ কিলোমিটার বেগের ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ বরগুনা ও বাগেরহাটের মধ্যবর্তি বলেশ্বর নদী হয়ে উপকুলের ৭টি জেলায় আঘাত হানে। ঝড়ের আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি থাকায় প্রানহানীর সংখ্যা ছিল সাড়ে তিন হাজারেরও কম। নিখোজের সংখ্যাও ছিল প্রায় ২ হাজার। কিন্তু ফসল ও গবাদীপশু সহ সম্পদের ক্ষতির পরিমান সরকারী হিসেবেই ছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। বেসরকারী হিসেবে ২০ হাজার কোটি। যা ছিল ঐ সময়ে দেশের একটি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর প্রায় অর্ধেক। সিডরের আঘাতে প্রায় ১৬ লাখ পরিবারের ৭০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রায় ৫০ লাখ গবাদী পশুর প্রাণহানীসহ এক কোটি গাছপালা বিনষ্ট হয়।
২০০৯-এর মে মাসে জোয়ারের জলোচ্ছাস নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’র আঘাতে সুন্দরবন উপকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ২০১৩-এর ১৬মে প্রত্যুষে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে এসে বরগুনাÑকুয়াকাটা/কলাপাড়া হয়ে ভোলাÑমনপুরাÑহাতিয়া উপকুল দিয়ে মেঘনা মোহনায় পৌছার আগেই দূর্বল হয়ে পড়ে। তবে বরগুনার পাথরঘাটা ও কুয়াকাটা এলাকায় ঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেলেও দিনের বেলা ভাটার সময় আঘাত হানায় খুব দ্রæতই তা দূর্বল হয়ে পড়ে । ২০১৫-এর ২৬ জুলাই ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এর আঘাতে উপকুলে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালে ‘রোয়ানু’ ১ , ২০১৭ সালে ‘মোরা’ এবং গত মে আরেক ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র আঘাতেও শতাধিক মানুষের প্রাণহাণী ঘটে উপকুলভাগে। এসব ঝড়ে বিপুল ফসল সহ জনবসতিরও ক্ষতি হয়।
তবে বিপদ বার্তা নিয়ে ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানছে আজ কয়েক ঘন্টার মধ্যেই। অতীতের অনেক ঝড়ের মত এ তান্ডবকেও হয়ত সুন্দরবন সহ উপকুলীয় বনভুমিই প্রথমে প্রতিহত করবে। কিন্তু এ ‘বুলবুল’ দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকুলের প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল উঠতি আমন কতটা খাবে তা নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় এ অঞ্চলের কৃষককুল সহ সাধারন মানুষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন