বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শক্তিশালী হয়ে প্রবল বেগে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জন দুর্গম এলাকার ৬৮৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে মোট ৪ লাখ ৫৯ হাজার জেলার ৮৬৭ জন আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।
বুলবুল এর প্রভাবে সন্ধ্যার পর থেকে হালকা দমকা হাওয়া বইছে সাথে রয়েছ মাঝারী ভারী বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। বুলবুল’র যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১০টি কন্ট্রোল রুম ও সিভিল সার্জনের গঠিত ৭৪টি মেডিকেল টিমসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস ৬৪.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় বুলবুল মোকাবেলায় বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সতর্কাবস্থানে রয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটে সকল ধরনের নৌ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পটুয়াখালীতে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৭ জন মানুষকে দুর্গম এলাকা বা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় যৌথ ভাবে কাজ করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্য বিভাগ, নৌ ও সেনাবাহিনী। জেলায় পূর্বে ৪০৩টি সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেয়া হলেও শনিবার মোট ৬৮৯ টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে প্রশাসনের সাথে কাজ করছে ৬ হাজার ৫২৫ জন স্বেচ্ছা সেবক। সার্বিক বিষয় মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটিসহ ১০টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগে মোকাবেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩শ মেট্রিকটন চাল, ১২লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, ১৬৬ বান্ডিল টিন এবং ৪০০০ টি কম্বল মজুত রাখা হয়েছে আর ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে আজ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী ,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান সহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন,এবং আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজনের সাথে কথা বলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন