বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ফ্রান্সের সঙ্গী সুইজারল্যান্ড

প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : ফ্রান্সের নক-আউট পর্ব নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। ড্র করলে নিশ্চিত গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সুইজারল্যান্ডের হিসাবটা ছিল আবার একটু আলাদাÑ হালে চলবে না, কারণ ওদিকে রোমানিয়া জিতলেই সর্বনাশ। আর জিতে গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে শেষ ষোলয় জার্মানি কিংবা পোল্যান্ডের মত দলকে এড়ানো যাবে। এরপরও লিলে দুই দলের দেখা মিলল দুই ভূমিকায়। স্বাগতিকরা ব্যস্ত থাকল একের পর এক আক্রমণে, আর সুইসরা ক্ষ্যান্ত তাদের আক্রমণ প্রতিহত করেই। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র হলেও দুইয়ে মিলে অসাধারণ একটা ম্যাচ উপহার দিয়েছে তারা। দুই বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স সুইজারল্যান্ডকে নিয়েই পরের রাউন্ডে পা রাখল গ্রæপ সেরা হয়ে।
হিসাবটা এমন সহজ বলেই হয়তো ফরাসি কোচ দিদিয়ে দেশম একাদশে পাঁচটি পরিবর্তনের সাহস দেখানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই পরিবর্তিত খেলোয়াড়ের একজন হলেন পল পগবা। ম্যাচে গোল হয়নি ঠিকই, কিন্তু দেশমের এই একাদশকেই মনে হয়েছে তার সেরা একাদশ। বিশেষ করে পগবা বুঝিয়ে দিয়েছেন তাকে একাদশে রাখা কতটা জরুরি। সাথে গ্রিজম্যান-জিনিয়াকরা একের পর এক আক্রমণও সেই প্রমাণই রাখে। ম্যাচে শুধু গোল হয়নি, এই যা। ম্যাচ শেষে এখন তাই একটা প্রশ্নই খুঁজে ফিরছেন ফুটবল বোদ্ধারা। ফ্রান্স কি এখনো সেরা একাদশই নির্বাচন করতে পারল না?
ম্যাচের প্রথম ধাক্কাটা অবশ্য স্বাগতিকদের ওপর দিয়েই যায়। ডি বক্সে উড়ে আসা বলে পা ছোঁয়াতে পারলেই হত, কিন্তু পড়ে যান সুইস ফরোয়ার্ড ব্রিল এমবোলো। এসময় বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে বল পাঠানোর উপক্রম তৈরী করেছিলেন পগবা। এই ধাক্কাই যেন পগবাকে আরো তাঁতিয়ে তোলে। ৫ মিনিটের ব্যবধানে তিন তিনটি গোলেরসমূহ সুযোগ তৈরী করেছিলেন, কিন্তু জালের দেখা পাননি। দুইবার অতিদানবের মত দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান সুইস গোলরক্ষক সমার, তৃতীয়বার বাধ সাধে বারপোষ্ট। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা হয়েছে সুইস রক্ষণ আর ফরাসি আক্রমণের মধ্যে। শেষ দিকে আগের ম্যাচের গোলদাতা ত্রিমিত্রি পায়েতও বার কাঁপিয়েছেন। অথচ বলের দখলে এগিয়ে ছিল সুইজারল্যান্ড। ইনজুরি টাইমে একটা পেনাল্টি পেলেও পেতে পারত তারা। বেøরিম জিমেইলির জার্সি টেনে ধরেছিলেন ফরাসি ডিয়েন্ডার বাকারি সাগনা। কিন্তু রেফারি তাতে সাড়া দেননি। সেক্ষেত্রে রক্ষণেরই জয় হয়েছে বলা যায়।
ম্যাচ শেষে দলের পারফর্ম্যান্সে খুশির কথা জানান পগবা, ‘আমরা জয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটা পয়েন্ট পেয়েছি। গ্রæপের শীর্ষে থাকতে পেরে আমরা খুশি। এই অভিযান চলবে।’ পগবার প্রথম দুই ম্যাচ একাদশের বাইরে থাকা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। এ ব্যাপারে অবশ্য তিনি কোন মন্তব্যই করলেন না, ‘সমালোচনা? এই নিয়ে কাউকে উত্তর দেয়ার নেই আমার। আমি ফুটবল খেলি দলের জন্য।’
তবে ‘এ’ গ্রæপে এর চেয়েও বেশি রোমাঞ্চ অপর ম্যাচে। ওদিকে সুইজারল্যান্ড হারলে আর এদিকে আলবেনিয়াকে হারাতে পারলেই গ্রæপ রানার্স-আপ হয়ে পরের রাউন্ডের হিসাব নিয়ে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টায় ছিল রোমানিয়া। লিঁওর মাঠে প্রথম দিকে তারা খেলছিলও বেশ। কিন্তু তাদের হঠাৎ ছন্দপতনে জেঁকে বসে আসরে প্রথম খেলতে আসা আলবেনিয়া। বেশ কয়েকটি ভয়ঙ্কর পাল্টা আক্রমণে রোমানিয়ার রক্ষণে কাঁপুনিও ধরায় তারা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে তেমনি এক আক্রমণ থেকে আরমান্দু সাদিকের গোলে এগিয়েও যায় আলবেনিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে রোমানিয়ার চেষ্টার ঘাটতি ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাদিকের গোলেই পরাজয় নির্ধারণ হয়ে যায় তাদের। ৬৮ বছর পর রোমানিয়াকে হারালো আলবেনিয়া। এছাড়া বড় কোন টুর্নামেন্টে এটিই আলবেনিয়ার প্রথম জয়। এই জয় শেষ ষোলরও স্বপ্ন দেখাচ্ছে আলবেনিয়ানদের। এজন্য আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আলবেনিয়াকে। ছয়টি গ্রæপ থেকে ছয় গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপের সাথে চারটি সেরা তৃতীয় দলও যাবে নক-আউট পর্বে। একনজরে ফল
ফ্রান্স ০ : ০ সুইজারল্যান্ড
রোমানিয়া ০ : ১ আলবেনিয়া গ্রæপ ‘এ’ পয়েন্ট তালিকা

দল ম্যাচ জয় ড্র হার +/- পয়েন্ট
ফ্রান্স ৩ ২ ১ ০ ৩ ৭
সুইজারল্যান্ড ৩ ১ ২ ০ ১ ৫
আলবেনিয়া ৩ ১ ০ ২ -২ ৩
রোমানিয়া ৩ ০ ১ ২ -২ ১

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন