শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:৫২ এএম | আপডেট : ১১:১৯ এএম, ১২ নভেম্বর, ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ‘তুর্ণা নিশীথা’র সঙ্গে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করা ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার দিবাগত রাত ২ টা ৪৮ মিনিটে উপজেলার মন্দবাগে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি ট্রেনের একাধিক বগি আরেকটি ট্রেনের কয়েকটি বগির ওপর উঠে যায়।

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা দুর্ঘটনার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হয়েছে। আর কুমিল্লায় আহত অবস্থায় একজন মৃত্যুবরণ করেছেন।

তবে তার পরিচয় মিলছে না। এছাড়াও আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে।

স্টেশন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের চালক সিগন্যাল (সংকেত) অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মন্দবাগ রেল স্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য এই সিগন্যাল দেয়া হয়। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে যেতে শুরু করে। ট্রেনটির ছয়টি বগি ১ নম্বর লাইনে উঠতে পেরেছিল। অন্য বগিগুলো প্রধান লেনে থাকা অবস্থায় তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল অমান্য করে। এতে তূর্ণা নিশীথার একাধিক বগি ওই ট্রেনের কয়েকটি বগির ওপর উঠে যায়। এতে উদয়নের তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। নিহত ১৫ জন সবাই উদয়নের যাত্রী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের কাছে বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে নয়টি লাশ রয়েছে। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি লাশ রয়েছে। এর মধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী ও একটি শিশু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নারী ও পুরুষের দুটি লাশ রয়েছে। আর কুমিল্লা জেলা সদর হাসপাতালে একজন পুরুষের লাশ রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত কারও পরিচয় জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় অধিবাসীরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Md. Mofazzal Hossain ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:২৬ এএম says : 0
After this tragic accident how rail minster will be stayed on his post?
Total Reply(0)
মোঃ আককাছ আলি মোল্লা ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:৩৫ এএম says : 0
ইননালিললাহ্।লাইন ম্যানের গাফলতী
Total Reply(0)
মোঃ আককাছ আলি মোল্লা ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:৪১ এএম says : 0
ইননালিললাহ্।সিগনাল ছিল কিনা।যদি থাকে তাহলে মানা হয়নি কেন?তদনত করে দেখে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন