শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সুন্দরবনে পর্যটক নিষিদ্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৪৩ পিএম

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার করেছে বন বিভাগ। মঙ্গলবার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন এর সাথে বন বিভাগের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় জানানো হয়, সুন্দরবনে শুধুমাত্র আগামী ২৫ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিন পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া পুরো নভেম্বর মাস জুড়ে সীমিত আকারে পর্যটন পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বনের যেসব অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব স্থানে ট্যুর অপারেটররা পর্যটকদের নামাতে পারবেনা বলে সভায় জানানো হয়।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মঈন উদ্দিন খান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে বন বিভাগের কিছু ক্যাম্প, কাঠের পন্টুন, জেটি, ওয়াকওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বা বন্য প্রাণীর মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কিছু গাছপালার ডাল ভেঙে গেছে। সুন্দরবনকে প্রাকৃতিকভাবে ক্ষত পূরণের স্বার্থে পর্যটকদের প্রবেশে অনুমতি না দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো, তা প্রত্যাহার করে সীমিত আকারে পর্যটন পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগের ৬৩টি ইউনিট ও সুন্দরবনে অবস্থিত ১৬টি ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল মামুন জানান, সুন্দরবনের মধ্যে ক্ষতির পরিমাণ স্বাভাবিকভাবে কম হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বুলবুল আঘাত করার দু’দিন আগে থেকে বৃষ্টিপাত হয়েছে যে কারণে বুলবুলের তীব্রতা কম হয়ে যায়। এবারের ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে যেহেতু জলোচ্ছ্বাস হয়নি সেহেতু প্রাণীকুলের ক্ষয়ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ জলোচ্ছ্বাস ছাড়া সুন্দরবনে ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর লাখো পর্যটক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন দেখতে যান। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এর সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। ২০০৭ সালে যে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত এনেছিল, ইউনেস্কোর প্রতিবেদন অনুযায়ী তাতে সুন্দরবনের শতকরা ৪০ ভাগ ক্ষতি হয়েছিল। এবারও সুন্দরবনের গাছপালায় বাধাপ্রাপ্ত হয়েই মূলত দুর্বল হয়েছে বুলবুল। সঠিকভাবে বন সংরক্ষণ না করলে সুন্দরবন দিনে দিনে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন