শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কসবার ট্রেন দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৩, আহত ৭

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৪৬ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে দুটি ট্রেনের সংঘষে চাঁদপুরের মজিবুর রহমান (৫০) ও কুলসুমা (৪২) নামে স্বামী-স্ত্রী এবং ফারজানা আক্তার (২০)নামে এক গৃহবধু নিহত হয়েছে। নিহত স্বামী-স্ত্রী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। ফারজানা আক্তার সদর উপজেলার উত্তর বালিয়া গ্রামের বিল্লাল বেপারীর মেয়ে। ফারজানা বিবাহিত। শহরের নাজির পাড়ার মোহন দেওয়ানের স্ত্রী।
ট্রেন দুঘটনায় আহতরা হলেন নিহত ফারজানার মা বেবী বেগম (৪০), ভাই হাসান বেপারী (২৮), নানী ফিরোজা বেগম (৭০), ফারজানার মামি শাহিদা বেগম (৪০), মামাত বোন মিতু (১৭), ইলমা (৭) ও মামাত ভাই জুবায়ের (৩)।
নিহত দম্পতি মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুম বেগম (৪২) হাজীগঞ্জ উপজেলায় নিজের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল । এ জন্য সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে ট্রেনে করে চাঁদপুর আসছিলেন। কিন্তু পথে দুর্ঘটনায় মারা যান তারা। তাই জীবিত নয়, মরদেহ হয়ে ফিরছেন এ দম্পতি।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলায় মজিবুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সবাই মরদেহের জন্য অপেক্ষা করছে। এ ঘটনায় পুরো গ্রামে চলছে শোকের মাতম।
জানা গেছে, নিহত মজিবুর রহমান স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে সিলেটের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বসবাস করতেন। সেখানে কসমেটিক পণ্যের ব্যবসা করতেন তিনি। মূলত তার গ্রামের বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলার ১ নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড রাজারগাঁওয়ে।
নিহত মজিবুর রহমান ও কুলসুমা বেগমের মরদেহ বাড়িতে আনার জন্য চাঁদপুর থেকে স্বজনরা মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মন বাড়িয়া রওয়ান হয়েছেন। অপরদিকে নিহত ফারজানার দাফনের জন্য প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু নাইমার পরিচয় নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয়। এতে শিশু নাইমার চাচা ছবি দেখে তাকে শনাক্ত কওে রওয়ানা হন। তাদের বাড়ি চাঁদপুরের । শিশুটির চাচা মানিক জানান, সিলেটে মাজার জিয়ারত শেষে মা কাকলী ও দাদা-দাদী, নানা-নানীর সঙ্গে নাইমা চাঁদপুর ফিরছিলো। ওর মা কাকলী ও নানীর খোঁজ এখনও পাইনি। নাইমার দাদীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। তিনি কুমিল্লা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন