শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বুড়িচংয়ে গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা

বুড়িচং (কুমিল্লা) উপজলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ফকির বাজার সড়কের বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলাচল ও সাধারণ জনগণের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। হালকা ও ভারি বৃষ্টিপাতে বুড়িচং উপজেলার কুমিল্লা সালদা সড়কের ফকির বাজারের দক্ষিণ ও উত্তরের সড়কটি ভাঙার পাশাপাশি সড়কের পলেস্তরা খসে উভয় পাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লা মিরপুর ভায়া বুড়িচং সড়কের পাশাপাশি আরেকটি অন্যতম ব্যস্ত সড়ক হচ্ছে কুমিল্লা সালদা ভায়া ফকিরবাজার কালিকাপুর সড়কটি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ তাদের বিভিন্ন স্থান থেকে জেলা শহর কুমিল্লা হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান ও স্কুল কলেজে যাতায়াত করে। কুমিল্লা জেলার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেট জেলার হাজার হাজার মানুষও নিত্য যাতায়াতের একমাত্র সহজ মাধ্যম এ সড়ক। অতি সম্প্রতি ব্যস্ততম ওই সড়কটি কয়েকদিনের হালকা ও ভারি বৃষ্টিপাতে বুড়িচং উপজেলার ফকির বাজারের দক্ষিণ ও উত্তরের সড়ক ভাঙার পাশাপাশি সড়কেরর পলেস্তরা খসে উভয় পাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনগণসহ ও যে কোনো ধরণের যানবাহন চলাচল করতে ব্যাপক অসুবিধার হচ্ছে। গত ১০ নভেম্বর ফকির বাজারের সড়কটির মাটি ক্ষয়ে সৃষ্ট গর্তের মধ্যে ১টি ট্রাক আটকা পড়ে।
বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী অনুপ কুমার বড়–য়া জানান, ২০১৭ সালে ডিসেম্বর শেষ করার জন্য প্রথম ওয়ার্ক অর্ডার হয়। কিন্তু, উক্ত সড়ক নির্মাণ কাজ বুড়িচং উপজেলালার বাকশীমূল ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত ফকির বাজারের দক্ষিণাংশ থেকে শুরু করে ওই উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চড়ানল উত্তর পাড়া পর্যন্ত প্রায় ১১ কি.মি. এর কাজ প্রথম মেয়াদের ওয়ার্ক অর্ডারে কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়। যার প্রাক্কলিত ব্যয় ছিলো ৭ কোটি ৬ লাখ ৪৬ হাজার ২১৬ টাকা। উক্ত সড়কের রিটার্নিং ওয়াল, কালভার্টসহ কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকলে এই সড়কের ২৫ এম.এম. ডেন্স কার্পেটিং এর কাজ এ বছরের ডিসেম্বরের আগে কাজ শেষ হয়। উক্ত কাজ শেষ হলেও গত ১৫দিন প‚র্ব থেকে এই সড়কের পলেস্তরা খসে পড়ার স‚ত্রপাত ঘটে। বর্তমানে এ অবস্থা এতই নাজুক আকার ধারণ করেছে যে সড়কটি ভেঙে সৃষ্ট গর্তে ১টি ট্রাক আটকে থাকায় সড়কের সংশ্লিষ্ট স্থান দিয়ে খুব ধীরে ধীরে যানবাহন অতিক্রম করতে হচ্ছে। আবার এ ভাঙায় পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। সংশিষ্ট কাজ মেসার্স আরতা ও পিসি জেভি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায় কাজের ৩য় এসও হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. মোতাহের হোসেন। তিনি বলেন, এতো তাড়াতাড়ি সড়কটি ভেঙে যাওয়ার পেছনে অন্যান্য কোম্পানীর হেভী ওয়েট সম্পন্ন যানবাহন চলাচলের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসানের সাথে আলাপ করলে তিনি সংশ্লিষ্ট একসিনকে বিষয়টি জানানোর কথা বলেন।
ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম জানান, ১১ নভেম্বর বিকেল থেকে রিপেয়ারিং এর কাজ শুরু করবেন। কিন্তু, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময় গত ১১ নভেম্বর রাত পর্যন্ত সময়ে কোনো রিপেয়ারিং এর কাজ শুরু হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন