মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ল্যাব সহকারী মিন্টু সরদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দায়েরকৃত মামলাটি ফরিদপুর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে। পরবর্তী কার্যক্রমের অংশ হিসাবে মিন্টু সরদারকে তার সম্পদ বিবরণী সঠিকভাবে দাখিল করার কথা বলেছেন।
দুদকে অভিযোগ ও মামলার বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ল্যাব সহকারী মিন্টু সরকার দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর ধরে একই স্থানে চাকরি করার সূত্রে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। দিনমজুরের সন্তান হয়ে শুধুমাত্র চাকরি করে বিভিন্ন দুর্নীতি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। চাকরির সুবাদে তিনি ৩টি মাইক্রোবাস, ২টি অ্যাম্বুলেন্স, ১টি প্রাইভেট কার কিনেছেন। এছাড়া তিনি মোটর সাইকেলের বিশাল একটি শো-রুম দিয়েছেন। একটি প্লট কিনেছেন ৫০ লাখ টাকা দিয়ে। ৪০ শতাংশ জায়গা জুড়ে একটি দোতালা বাড়ি করেছেন। মাদারীপুরে একটি ক্লিনিকের শেয়ার রয়েছে। তাছাড়া নামে বেনামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে তার। ল্যাব সহকারী মিন্টু সরদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়। আদালত মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রেরণ করে। মামলা দায়েরের পর মিন্টু সরদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে তিনি বরখাস্ত থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে এখনো কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, মামলার সূত্র ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন মিন্টু সরদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ সম্পদ করার প্রাথমিক সত্যতা পান।
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মিন্টু সরদার তার নামে থাকা বেশ কিছু সম্পত্তি গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলে জানান স্থানীয়রা। মামলার পর থেকে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকিসহ এলাকাছাড়া করার ঘোষণা দিয়েছেন বলে বাদী আ. হালিম অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে মিন্টু সরদার বলেন, আমার প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে হেয় করতেই মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছে। আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের লোকজন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন জানান, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ল্যাব সহকারী মিন্টু সরদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে হাজিরার জন্য সে হাসপাতালে আসে এবং হাজিরা দিয়েই চলে যায়।হাসপাতালে তার কাজ করার কোন সুযোগ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন