শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

সাত বছর পর মসনদে নিয়াজ

‘এবার শিরোপা জেতার আনন্দটা বেশি’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দীর্ঘ সাত বছর পর জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে দারুণ উৎফুল্ল উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ। তাই তো ৪৫তম জাতীয় প্রতিযোগিতায় সেরা হয়ে এই গ্র্যান্ডমাস্টারকে বলতে শোনা গেছে, ‘সাত বছর আগে যখন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিলাম, তখন তিন গ্র্যান্ডমাস্টার খেলেছিলাম। এবার পাঁচজনই খেলেছি। তাই আনন্দটা একটু বেশিই।’

১১ নভেম্বর শেষ হওয়া জাতীয় প্রতিযোগিতার দশম ও শেষ রাউন্ডে বাংলাদেশ আনসারের নিয়াজ মোরশেদ দেশের সর্বকনিষ্ঠ জাতীয় দাবাড়ু মনন রেজা নীড়কে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হন। বাংলাদেশ দাবার এই কিংবদন্তী ১০ খেলায় ৮ পয়েন্ট পেয়ে সেরা হন। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ক্যারিয়ারের এটা তার ষষ্ঠ শিরোপা জয়। তবে ৩৫ বছরের দাবা ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ শিরোপা কেন? এর উত্তরে নিয়াজ বলেন, ‘১৯৮৩ সাল থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে হয়নি আমাকে। কারণ অন্যদের সঙ্গে দূরত্বটা এতই বেশি ছিল যে, ফেডারেশন আমাকে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে দেয়নি।’

৩২ বছর আগে (১৯৮৭ সালে) উপমহাদেশের প্রথম এবং এশিয়ার ৫ম দাবাড়ু হিসেবে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব লাভ করেন নিয়াজ মোরশেদ। অথচ দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় পর এসে বাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টারের সংখ্যা মাত্র পাঁচজন (নিয়াজ মোরশেদ, জিয়াউর রহমান, রিফাত বিন সাত্তার, মোল্লা আবদুল্লাহ আল রাকিব ও এনামুল হোসেন রাজীব)। অন্যদিকে ১৯৮৮ সালে উপমহাদেশের দ্বিতীয় এবং ভারতের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব পাওয়া বিশ্বনাথান আনন্দের পর এখন তার দেশে ৬৫ জনের উপরে গ্র্যান্ডমাস্টার রয়েছেন। তুলনামূলক ভারতের চেয়ে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব পাওয়া দাবড়– বাংলাদেশে কম কেন? এ প্রসঙ্গে নিয়াজ বলেন, ‘এই জট একদিনের নয়। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে দাবা ফেডারেশনে দুর্বল সাংগঠনিকতার বহি:প্রকাশ এটি। সংগঠকরা দাবাড়–দের দিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু দাবাড়–দের মানোন্নয়নে তেমন নজার দেননি। তাই আজ ভারতের সঙ্গে আমাদের এই অসম অবস্থান।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন