শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রতিহিংসার রাজনীতি ভুলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন

রাজধানীতে পথসভায় রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

প্রতিহিংসার রাজনীতি ভুলে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, অবৈধ সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণভাবে গায়ের জোরে বন্দি করে রেখেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা শুধুমাত্র দেশের একজন জনপ্রিয় নেত্রীকেই বন্দি করে রাখেনি, বরং তারা গোটা দেশ, গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকেও এক শ্বাসরুদ্ধকর বন্দিশালায় আটকে রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র ফিরবে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ হবে, দেশের মানুষ নিরাপত্তা ফিরে পাবে। তাই দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আমাদের আর বসে থাকলে চলবে না, জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। দেশনেত্রী বর্তমানে ভীষণ অসুস্থ, তিনি চলাফেলা করতে পারছেন না, নিজ হাতে খেতে পারছেন না। এমতাবস্থায় সরকার প্রধানকে বলবো- প্রতিহিংসার রাজনীতি ভুলে বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিন, নইলে জনগণের তীব্র ক্ষোভে আপনার মসনদ ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে।
গতকাল (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মিছিল শেষে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মিছিলটি নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিল শেষে পথসভায় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, ছাত্রদল নেতা কাউসারসহ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নূর হোসেনকে নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গার মন্তব্যের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, স্বৈরাচারের কুৎসিত আত্মা দিয়ে জাতীয় পার্টি তৈরি বলেই মশিউর রহমান রাঙ্গাদের মতো রাজনৈতিক ‘ভবঘুরেরা’ গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গকারী নূর হোসেনের মতো শহীদদের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য কথা বলতে পারে। এরা লুটপাটের আদর্শে উদ্বুদ্ধ গণতন্ত্রের শত্রæ বলেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে পারে। সেজন্য তারা গণতন্ত্র হত্যাকারী আরেকটি শক্তি বর্তমান হানাদার শাসকদের সাথে পরাজিত স্বৈরাচার হাত মিলিয়ে গণতন্ত্র এবং সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই দুই স্বৈরাচার এখনও গণতান্ত্রিক প্রথা-প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে গুম ও খুনের মাধ্যমে বিভীষিকা তৈরি করে রেখেছে। অথচ শহীদ নুর হোসেন আওয়ামী লীগেরই কর্মী ছিলেন। কিন্তু নির্লজ্জভাবে ‘৯০ এর পরাজিত স্বৈরাচারের ‘পথকলিদের’ সাথে জোট করে নূর হোসেনদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে গণতন্ত্রকে দেশের মাটি থেকে উচ্ছেদ করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন