বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

শূকরের রক্তে নদীর পানিও রক্তাক্ত!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৪৫ পিএম

নদীর পানির রং হঠাৎই লাল রং ধারণ করে। আশেপাশের সবাই তো অবাক! দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী একটি নদীর পানির রং রক্তে লাল হয়ে গেছে। জানা গেছে, শূকরের মৃতদেহ নদীতে ফেলায় দূষিত রক্তে লাল হয়ে গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইমজিন নদীর পানি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের (এএসএফ) প্রাদুর্ভাব থামাতে ৪৭ হাজার শূকর নিধন করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। মেরে ফেলা শূকরগুলোকে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী একটি স্থানে মাটিচাপা দেয়া হয়।

এরপর ভারী বর্ষণে শূকরের রক্ত ইমজিন নদীর একটি শাখায় প্রবাহিত হলে পানির রং রক্তে লাল হয়ে পড়ে। এএসএফ একটি উচ্চ মাত্রার সংক্রামক ব্যাধি। এ রোগে আক্রান্ত শূকরের সেরে ওঠার হার প্রায় শূন্যের কোঠায়। তবে এএসএফ মানবদেহের জন্য বিপজ্জনক নয়।

এদিকে এএসএফ আক্রান্ত শূকরের মাধ্যমে অন্য প্রাণীর দেহেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগাক্রান্ত শূকরগুলোকে এএসএফের জীবাণুমুক্ত করার পরই জবাই করা হয়েছে। এছাড়া নদীর পানি যেন আর দূষিত না হয়, সেজন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
গত সপ্তাহান্তে শূকর নিধন প্রক্রিয়া চালায় দক্ষিণ কোরিয়া। জবাই করার পর রোগাক্রান্ত শূকরগুলোর দেহ ট্রাকে ভরে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী একটি ভাগাড়ে রাখা হয় বলে জানা গেছে। তবে জবাই করার পর প্রাণীদেহগুলো মাটিচাপা দিতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায় বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এশিয়ায় এখন পর্যন্ত কেবল দক্ষিণ কোরিয়াতেই এএসএফের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বিভক্ত করা কড়া প্রহরাধীন অসামরিক অঞ্চল দিয়ে এএসএফ আক্রান্ত শূকরের পাল দক্ষিণ কোরিয়ার ঢুকে পড়েছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন