বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

দু’টি দুঃখজনক ঘটনা এবং আমাদের দাবি

মোহাম্মদ আবদুল গফুর | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

একই সাথে দুটি দুঃখজনক ঘটনা। প্রথমটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। ঘূর্ণিঝড় প্রকৃতি-সৃষ্ট, তাই এর প্রতিরোধে মানুষ অসহায়। মানুষ এ বিষয়ে যা করতে পারে তা হলো, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়, তা যথাসাধ্য কমানোর চেষ্টা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে সজাগ ছিলেন, তা বুঝা যায় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে। গত রবিবার দৈনিক ইনকিলাব-এ প্রকাশিত প্রথম পৃষ্ঠার একটি খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী মনিটারিং করছেন। উপ-শিরোনামে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। এলাকায় নজর রাখতে মন্ত্রী, সচিব ও ডিসিদের নির্দেশ। সংবাদে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশের সাধারণ মানুষের জানমাল বাঁচাতে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের সক্রিয়ভাবে কাজ করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গণভবনে বসেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করছেন। দুর্যোগ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিব ও ডিসিদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা এবং নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে যেন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য দেশবাসীর প্রতি দোয়া কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এসব সত্তে¡ও প্রকৃতি-সৃষ্ট এ দুঃখজনক ঘটনায় দেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দৈনিক ইত্তেফাকে গত মঙ্গলবারের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি সংবাদ অনুসারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ১৬ জনের প্রাণহানি। উপ-শিরোনামে ছিল অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত। গাছপালা-ফসলের ব্যাপক ক্ষতি: ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১০ জেলের লাশ উদ্ধার। গত মঙ্গলবার দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি সংবাদ-প্রতিবেদনের প্রধান শিরোনাম ছিল: সবচেয়ে ক্ষতি ফসল ও মাছের। এই সংবাদের একটি উপ-শিরোনামে বলা হয়, মোট আক্রান্ত মানুষ সরকারের হিসাব মতে, ১০ লাখ ৭০ হাজার। বেসরকারি হিসাবে ২০ লাখ। ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ১৪টি। ১৭ জনের মৃত্যু। প্রাথমিক হিসাব মতে, প্রায় ৪৭ কোটি টাকার মাছ নষ্ট। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে ঘেরের মাছের। ২ লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর জমির ফসল ঝড়ের কবলে নষ্ট হয়েছে।

সংবাদে আরো বলা হয়, দেশের ১৬টি উপকূলীয় জেলায় এই ঝড় কমবেশি আঁচড় কেটেছে। নিজের ক্ষতি সয়ে সুন্দরবন দেশের উপকূলবাসীকে আরো বেশি ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করেছে। শনিবার রাতের এই ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাঠের ফসল ও মাছের। বন বিভাগ সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব শুরু করেছে, এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। তবে সুন্দরবনের ভেঙে পড়া গাছ যাতে চুরি না হয়, সে জন্য আগামী পাঁচ দিনের জন্য বনে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারি হিসাবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে মারা গেছে নয়জন। আটজনই মারা গেছে গাছ চাপা পড়ে। তবে ঝড়ের কবলে পড়ে ভোলার মেঘনা ও ইলিশা নদীর মোহনায় গত রোববার একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। ২৪ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি চাঁদপুর থেকে ছেড়ে এসেছিল। এ সময় ১০ জনকে পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার করে। ১৪ জন নিখোঁজ ছিল। ওই দিন রাতে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আবদুল্লাহপুর মেঘনা থেকে খোরশেদ আলম নামের একজনকে এবং গতকাল সন্ধ্যায় আরও আট জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে এই ঝড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭। বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ লাখ ৭০ হাজার উপকূলবাসী। আর আন্তর্জাতিক সংস্থা রিলিফ ওয়ার্ল্ডের হিসাবে এই সংখ্যা ২০ লাখ। তবে ক্ষয়ক্ষতির এখনো চূড়ান্ত হিসাব শেষ হয়নি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আক্রান্ত ১৬ জেলায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চাওয়া হয়েছে। হিসাব চূড়ান্ত করতে আরও সপ্তাহখানেক লাগবে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর কারণে বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও এর মধ্যে একটি সান্ত¦নার খবরও আছে, যা না হলে ক্ষয়ক্ষতি আরও অনেক বেশি হতো। এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, গত রবিবার দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রথম পৃষ্ঠার একটি সংবাদের মধ্য দিয়ে, যার শিরোনাম ছিল: সুন্দরবনের বাধায় দুর্বল বুলবুল। সচিত্র এই সংবাদে বলা হয়: ঘূর্ণিঝড় প্রবল শক্তি নিয়ে এগিয়ে এলে মোংলা পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শেষ পর্যন্ত সুন্দরবনে বাধা পেল। প্রথমে ভারতীয় অংশের সুন্দরবনের সাগরদ্বীপে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত করে। এরপর এটি বাংলাদেশের সুন্দরবনের খুলনা অংশে ঢুকে পড়ে। দুই দেশের সুন্দরবনের গাছপালায় বাধা পেয়ে দুর্বল ‘বুলবুলের’ কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটার কমে যায়। জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতাও কমে আসে। এর আগে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা একইভাবে সুন্দরবনে বাধা পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় জেলাগুলোতে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে দিনভর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বয়ে যায়। বৈরী আবহাওয়ায় বন্ধ থাকে নৌযান চলাচল। বিঘ্নিত হয় আকাশপথের যাত্রা। চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানো-নামানোর সব ধরনের কার্যক্রমও বন্ধ থাকে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আজ রোববারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ বলেন, সুন্দরবনের গাছপালায় বাধা পেয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বেশ দুর্বল হয়ে গেছে। এটি রাত নয়টার দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সুন্দরবন অংশে পৌঁছায়। এরপর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। এতে বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডে কিছুটা দেরিতে ও দুর্বল অবস্থায় প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’।

এঘটনা থেকে বাংলাদেশের জনগণকে যে শিক্ষা নিতে হবে, তা হলো: যে কোনো উপায়ে সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবনের সামান্যতম ক্ষতি হয় এমন কিছু করা থেকে রাষ্ট্রীয় কর্র্তৃপক্ষকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ, অতীতের আইলা, সিডরের মতো এবারও ঘূর্ণিঝড় বুলবুলকে দুর্বল করে দিতে সক্ষম হয়েছে সুন্দরবন।

শুধু সুন্দরবনই নয়, দেশের মানুষ ও প্রাণিসম্পদকে রক্ষার লক্ষ্যে বাংলাদেশে যে পরিমাণ বনাঞ্চল থাকা অত্যাবশ্যক সে পরিমাণ বনাঞ্চল সৃষ্টির জন্য আমাদের দৃঢ়সংকল্প ও পরিকল্পিত কর্মোদ্যগ গ্রহণ করতে হবে। নইলে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে দেশকে নিরাপদ করা যাবে না। এবারের ঘূর্ণিঝড় থেকে এই শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারলে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে আরও মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হবে।

এবার দ্বিতীয় দুঃখজনক ঘটনার কথা। গত সোমবার রাতে ২টা ৫৩ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৬ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এবং মারাত্মক আহত হয়েছে শতাধিক। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর আঘাত প্রকৃতি-সৃষ্ট যার উপর মানুষের হাত নেই। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুর্ঘটনা মনুষ্য-সৃষ্ট। এ জন্য দায়ী দুই ট্রেনের সংশ্লিষ্ট চালক ও তাদের সহযোগীরা। সুতরাং এ ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ যদি অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা না করে, তাহলেও তাদেরও এজন্য দায়ী হতে হবে। আমরা এসব কথা লিখছি একারণে যে, অতীতে বহু মনুষ্য-সৃষ্ট দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত করে শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। শাস্তি নিশ্চিত না করার কারণে এদের দুঃসাহস বেড়ে গেছে অকল্পনীয়ভাবে। তাই তারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অতীতের মতো এবারও যদি সংশ্লিষ্ট অপরাধীরা তাদের অপরাধের জন্য শাস্তি না পায় তাহলে সেটা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।

আমাদের এ লেখার ইতি টানতে চাই, এই বলে যে, দুটি দুঃখজনক ঘটনার কারণ এক নয়। সুতরাং এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষকেও দু’ রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এর প্রথমটি মনুষ্য-সৃষ্ট নয়, প্রকৃতি-সৃষ্ট। তাই দু’টি দুর্ঘটনার মোকাবেলায় পৃথক পৃথক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ও এ ধরনের অন্যান্য দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুন্দরবনের সামান্যতম ক্ষতি হয় এমন সব প্রকল্প বা কার্যক্রমকে যে কোনো মূল্যে এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ এবার তো আরো স্পষ্টভাবে বুঝা গেলো, সুন্দরবনের বাধার কারণেই ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশের যতটা ক্ষতি করতে পারতো তা করতে সক্ষম হয়নি। একারণে সুন্দরবন বাস্তবে হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য একটি প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ। এই প্রাকৃতিক রক্ষাকবচকে আমাদের যে কোনো মূল্যে শুধু রক্ষা করলেই চলবে না, তাকে আরও শক্তিশালী করার বাস্তব কর্মোদ্যাগ গ্রহণ করতে হবে।
অথচ দেখা যাচ্ছে, বাস্তবে সুন্দরবনকে দুর্বল ও ধ্বংস করার লক্ষ্যেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সুন্দরবনের আশেপাশে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কলকারখানা নির্মাণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ। তাদের এ উদ্যোগ যদি অবিলম্বে বন্ধ না করা হয় এবং কয়লা বিদ্যুৎ ও কলকারখানা নির্মাণের কাজ যদি অব্যাহতই থাকে তবে সুন্দরবন দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে, তার জন্য রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষকে জনগণ কিছুতেই ক্ষমা করবে না। পরিশেষে আমরা দাবি জানাবো, সুন্দরবনের সামান্যতম ক্ষতি হয় এমন সব কাজ থেকে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে বিরত হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি ট্রেনের সংঘর্ষের অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনার ফলে যারা হতাহত হয়েছেন, তাদের জন্য আমরা শোক প্রকাশ করছি। যারা ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী তারা যদি অতীতের মতো সাজা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়, তাহলে তার জন্যও বাংলাদেশের জনগণ রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করতে বাধ্য হবে। এসব দুঃখজনক ঘটনার একটির জন্য প্রাকৃতিক-কারণকে আংশিক দায়ী করা গেলেও ভবিষ্যতে এসব দুর্ঘটনার আশঙ্কা যাতে না দেখতে হয়, সেজন্য সুন্দরবনকে দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন সকল প্রকল্প ও কর্মকান্ড অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। অনুরূপভাবে ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ দুটি কাজে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ অবহেলা প্রদর্শন করবে না বলেই আমরা আশা করি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
সাখাওয়াত হোসেন ১৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:০৬ এএম says : 0
ধন্যবাদ,গুরূত্য পূর্ন্য বিষয় আলোকপাত করার জন্য।আশা করব কতৃপক্ষ এই বিষয়ের যথাযথ মূল্যায়ন করবে।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন