বিয়ে করতে গিয়ে কারাগারে গেলেন বর , পড়াতে গিয়ে কাজী।
ঠাকুরগাঁও সদর ইউএনও অফিস সূত্র জানায়, সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী কে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন ২১বছর বয়সী আল আমিন। কিন্তু বিয়ের বদলে কারাগারে যেতে হয়েছে তাঁকে। একই সঙ্গে বিয়ে পড়াতে গিয়ে অভিযুক্ত হয়ে কাজী আব্দুল আজিজকেও একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে।
গতকাল বুধবার গভীর রাতে উপজেলার আরাজি কৃষ্টপুর গ্রামের অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বর ও কাজী কে কারাদÐ দেন , বৃহষ্পতিবার দুপুরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ে বাড়ি ফাঁকা হয়ে যায়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বিয়ের খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ-আল-মামুন পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িতে যান। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত উপস্থিত হওয়া মাত্র কনে ও তার বাবা-মা সটকে পড়েন। তবে ঘটনাস্থল থেকে বিয়ের কাজী আব্দুল আজিজ ও বর আল আমিনকে আটক করে পুলিশ। এসময় কাজীর কাছ থেকে বিয়ের রেজিষ্ট্রি খাতা জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত বসালে কাজী আব্দুল আজিজ ও বর আল আমিন তাদেও দোষ স্বীকার করেন। পরে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কাজীকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদÐ ও তার বিবাহ নিবন্ধন বাতিল করা হয় এবং বরকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত কাজী আব্দুল আজিজ ও বর আল আমিনকে বৃহষ্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান সদর থানার ওসি (তদন্ত) তানভিরুল ইসলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন