বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সোনালি আসর

বড় মানুষ : নলিনীকান্ত ভট্টশালী

প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ড. নলিনীকান্ত জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করে গড়ে তোলেন ঢাকা জাদুঘর। ঢাকা জাদুঘরই আজ বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর। ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালীর জন্ম ২৪ জানুয়ারী ১৮৮৮ সাল। জন্মস্থান মুন্সীগঞ্জৃ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার নয়ানন্দ গ্রামে। পিতা রোহিনী কান্ত। মাতা শরৎকামিনী। নলিনীকান্তের পৈতৃক বাড়ী একই উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে। বাবা ছিলেন পোষ্টমাষ্টার।
ড. নলিনীকান্ত বাংলার প্রাচীন ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য একটি সংগ্রহশালা নির্মাণের প্রচেষ্টা করেন। তারই উদ্যোগে ১৯১২ সালে ঢাকা জাদুঘর প্রতিষ্ঠার প্রথম সম্মেলন হয়। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে ১৯১৩ সালে ঢাকা জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা হয়। জুলাই মাসের ৭ তারিখ ঢাকা জাদুঘর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ঢাকা জাদুঘরের অবৈতনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করছিলেন এইচ ই ষ্টেপলটন। তিনি এ দায়িত্ব পালনে অপরগতা প্রকাশ করেন। বাংলার গভর্নর লর্ড কারমাইকেল ১৯১৪ সালের জুলাই মাসের দিকে মাসিক ১০০ টাকা চেতনে ঢাকা জাদুঘরের দায়িত্ব গ্রহণ করতে আহ্বান জানান ড. নলিনীকান্তকে। ড. নলিনীকান্ত প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং দায়িত্ব বুঝে নেন। তিনি সাজাতে থাকেন ঢাকা জাদুঘরকে। পাইকপাড়ার জগদীশ কুমার মজুমদার, বজ্রযোগিনীর রায় বাহাদুর রমেশ চন্দ্র গুহ ঢাকা জাদুঘরের জন্য ১৯১৪ সালে ৮টি মূর্তি নিয়ে আসেন। যা ঢাকা জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়। জীবনের ৩৩টি বছর ব্যয় করেছেন ড. নলিনীকান্ত ভট্টশীল ঢাকা জাদুঘরকে সাজাতে। বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর অমূল্য প্রত্ম সম্পদ সংগ্রহ করেছেন। সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন মূর্তি, শিলালিপি, তাম্রশাসন, পটচিত্র, পোড়ামাটির ফলক সংগ্রহ করেছেন। ১৯১১ সালে কুমিল্লার ১১ মাইল পশ্চিমে ভারেল্লা গ্রামে প্রাপ্ত নটরাজ মূর্তি পেয়ে তার পাঠোদ্ধার করেন।
১৯১২ সালে ড. নালিনীকান্ত নরসিংদীর বেলাব গ্রামে প্রাপ্ত বিক্রমপুরের ভোজ বর্মদেবের একটি তাম্রশাসনের পাঠোদ্ধার করেন। নলিনীকান্ত আরবি শিলালিপির পাঠোদ্ধারের জন্য ১৯১৮ সালে আরবি ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি বহু সুলতানী আমলের মুদ্রার আরবি হতে বাংলায় অনুবাদ করেন। তার গবেষণামূলক বইগুলো হলো “কয়েনস এন্ড ক্রোনোলজি অব দি আর্লি ইন্ডেপেন্ডেন্ট সুলতানস অব বেঙ্গল”। ইতিহাসে এ মানুষটি ঘুরে বেড়িয়েছেন তথ্যের জন্য মুন্সীগঞ্জ, কোটালীপাড়া, কুমিল্লা, সোনারগাঁও, বরেন্দ্র, খুলনা, যশোর, দিনাজপুর, মালদহসহ বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল। ইতিহাসের এ মানুষটি ৬ই ফেব্রুয়ারী ১৯৪৭ সালে ঢাকা জাদুঘরের বানীকুটিরে মারা যান।
গোলাম আশরাফ খান উজ্জ্বল

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
ARUNAVA SANYAL ১১ জানুয়ারি, ২০১৭, ৯:৪৪ পিএম says : 0
নলিনীকান্ত ভট্টশালী ছিলেন আমার ঠাকুমার জ্যাঠামশাই । ওনার নাম ঠাকুমার মুখে অনেকবার শুনেছি :) ।
Total Reply(0)
জাহিদুর রহমান ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৩৪ পিএম says : 0
ভট্টশালী লিখিত বইয়ের বাংলা অনুবাদ রয়েছে কি?
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন