শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পানিতে বিষ মেশানোর ইহুদি পুরোহিতের আহ্বানের নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন

প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইসরাইলের ইহুদি পুরোহিতরা ফিলিস্তিনিদের পশ্চিম তীর ছেড়ে যেতে বাধ্য করার জন্য দখলকৃত ফিলিস্তিনের খাবার পানিতে বিষ মেশানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সোলায়মান নামক ওই পুরোহিত এক ধর্মীয় নির্দেশনা জারি করে ইসরাইলি সেটেলারদের এ আহ্বান জানিয়েছেন। ইহুদি পুরোহিতের এ আহ্বানের প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানির লাইন কেটে দিয়েছে ইসরাইলের পানি সরবরাহকারী কোম্পানি। এর মধ্যেই ফিলিস্তিনের খাবার পানিতে বিষ মেশানোর আহ্বান জানালেন পুরোহিত সোলায়মান। ডেইলি সাবা জানিয়েছে, ইহুদি পুরোহিত পরিষদের প্রধান পুরোহিত সোলায়মান। তিনি পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরাইলের সেটেলারদের ফিলিস্তিনিদের খাবার পানিতে বিষ মেশানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগেও ইহুদি পুরোহিতরা ফিলিস্তিনিদের সম্পদ চুরি করা ও তাদের জয়তুন বাগানের ফসল নষ্ট করাকে বৈধ বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন। ইহুদি পুরোহিতের এ ফতোয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফিলিস্তিনিদের খাবারের পানিতে বিষ মেশানোর ফল ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি করেছে। একই সঙ্গে এই ফতোয়া দেওয়া ইহুদি পুরোহিতকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। এদিকে, রমজানের শুরুতে ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় পানি সরবরাহকারী কোম্পানি দখলিকৃত পশ্চিম তীরে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ইসরাইলের পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেকোরত ফিলিস্তিনি শহরগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় জেনিন শহর, নাবলুস ও তার আশপাশের গ্রাম এবং সালফিত ও তার আশপাশের গ্রামগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে খবরে বলা হয়, প্যালেস্টিনিয়ান হাইড্রোলজি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আইমান রাবি জানান, কিছু কিছু এলাকার অধিবাসীরা ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে পানি পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, এসব এলাকার জনগণ পানি সরবরাহকারী ট্রাক থেকে পানি কেনা এবং স্থানীয় জলাধার এবং কুয়োর পানি পান করছেন। কিছু উপদ্রুত এলাকায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ করছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রত্যেক পরিবারকে দুই, তিন বা দশ লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। জেনিন শহরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বাস করেন। জানা গেছে, সেখানকার পানি সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। গ্রীষ্মকালের খরতাপে পানি সরববরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় কোনো বিপর্যয় ঘটলে, সেজন্য মেকোরত দায়ী থাকবে বলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ডেইলি সাবা, আল-জাজিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন