স্বাধীনতা-বিরোধীদের নামে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সড়ক, স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে সে স্থলে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক স্থাপনে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ইতঃপূর্বে দেয়া আদেশ বাস্তবায়ন করে এ সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন ২০১২ সালে একটি রিট করেন। রিটে স্বাধীনতা-বিরোধীদের নামে স্থাপনা, সড়ক, অবকাঠামোর নামকরণ স্থগিত চাওয়া হয়। প্রাথমিক শুনানি শেষে ওই বছরের ১৪ মে রুলসহ খান-এ সবুর ও শাহ আজিজুর রহমানের নাম ব্যবহার স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি করেন আদালত। রুলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের নামে থাকা সড়ক, স্থাপনা ও অবকাঠামোর নাম পরিবর্তনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, পরিবর্তনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সেসবের নামকরণ কেন করা হবে না এবং যারা ওই নামকরণের জন্য দায়ী, তাদের কেন বিচারের আওতায় আনা হবে নাÑ জানতে চাওয়া হয়। পরে ওই সব স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব ও খুলনার মেয়রকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। সেই আদেশ অদ্যাবধি বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি আবারো আদালতের দৃষ্টিতে আনা হয়। পরে হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেন। রিটে আদালতের কাছে ২০ জন যুদ্ধাপরাধীর নাম দেয়া হয়। তারা প্রত্যেকেই আন্ততর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ-িত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন