বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মাগুরায় ধানক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ

কৃষকরা সর্বস্বান্ত

সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

মাগুরায় চলতি আমন মৌসুমে বিভিন্ন ধান ক্ষেত বাদামী গাছ ফড়িং তথা কারেন্ট পোকার আক্রমণের শিকার হয়েছে যে সময় ধান কেটে কৃষকরা ঘরে তুলবে সে সময় কারেন্ট পোকার আক্রমণে জেলার অন্তত ২ হাজার কৃষক সর্বশান্ত হয়েছে। কৃষি বিভাগের অসতর্কতার কারণে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলার সদর উপজেলার মঘি, শত্রæজিৎপুর, কাটাখালী, সত্যপুর, তিতারখাঁপাড়া, শেখপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি মাঠে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ ধান ক্ষেত কারেন্ট পোকায় আক্রান্ত হয়েছে।
কৃষক আনোয়ারুর ইসলাম জানান, ৪ বিঘা জমির পুরোটাই কারেন্ট পোকায় বিনষ্ট হয়েছে। এটি তার সারা বছরের খোরাকি। কৃষক ইউসুফ আলী শিকদার জানান, ২ বিঘা জমির পুরো ধান কারেন্ট পোকায় বিনষ্ট হয়েছে। ইকরাম মোল্যা জানান, ৩ বিঘার মধ্যে ২ বিঘা জমির ধান কারেন্ট পোকায় বিনষ্ট হয়ে গেছে। কৃষক মান্নান জোর্য়াদ্দার জানান, তার এক একর আমন ধানের ৭৫ শতাংশই কারেন্ট পোকায় বিনষ্ট করেছে। এছাড়া আবুল কালাম আজাদের ২ বিঘা, গোলাম কুদ্দুসের ২ বিঘা, মিজানুর রহমানের ৩০ শতাংশ, রওশন মোল্যার ২ বিঘা জমির ধান একইভাবে বিনষ্ট হয়েছে।

কৃষকরা জানান, বাদামী গাছ ফড়িংয়ের আক্রমণের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হচ্ছে আক্রমণের একদিনের মধ্যেই সমস্ত ধান বিনষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে কৃষি বিভাগের উচিৎ কোন এলাকায় আক্রান্ত হলে গোটা জেলায় সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা। মাঠ পর্যায়ের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা তৎপর না হওয়ায় এ অবস্তার শিকার হয় র্কষকরা। ফলে বিভিন্ন এলাকায় এ পোকা ছড়িয়ে পড়ে।
সদর উপজেলার আলমখালী এলাকার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, তার কর্ম এলাকায় মাত্র ৫ শতক জমিতে কারেন্ট পোকায় আক্রমণ হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে ধান কেটে ফেলায় এটির বিস্তার হয়নি। লাইন সুইং পদ্ধতিতে ধান লাগালে ভেতরে আলো বাতাস প্রবেশ করে। সেক্ষেত্রে কারেন্ট পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকে। কিন্তু অধিকাংশ কৃষক সনাতন পদ্ধতিতে ধান রোপন করায় আগাছা হয়, ভেতরে আলো প্রবেশ করে না। এছাড়া কারেন্ট পোকার আক্রমণ হবার সাথে সাথে ওই ক্ষেতের ধান কেটে ফেলতে হয়। পাশাপাশি কিছু সুনির্দিষ্ট ওষুধ আছে যেগুলো স্প্রে করতে হবে।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক জাহিদুল আমিন বলেন, জেলায় কমবেশি কারেন্ট পোকার আক্রমণ হয়েছে। ক্ষতি নিরূপনের চেষ্টা চলছে। এছাড়া আক্রমণটি ধান ওঠার সময় হওয়ায় খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন