ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের সিএ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় শালিক বৈঠকে হামলার পর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত ও তাদের স্বজনরা গত শনিবার বিকালে জানান, গত ১৩ নভেম্বর ডিক্রিরচর ইউনিয়ন বোর্ড অফিসে একটি শালিস বৈঠক চলাকালে মতের মিল না হওয়ায় চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টুর লোকজন লাঠিসোটাসহ দেশী অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় আ.লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আবু ফকিরের লোকজনের উপর হামলা করে। ওই হামলায় আবু ফকিরের পক্ষের আহত পাঁচজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা ও তাদের পরিবারের স্বজনেরা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজন ফের বাড়ি-ঘরে হামলার হুমকী দিচ্ছে। তারা আরো দাবি করেন, মিন্টুর পক্ষের লোকজন হাসপাতালেও সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছে, যা ভীতির সৃষ্টি করছে। মিন্টু ফকির হামলার অভিযোগ বলেন, গ্রামে আদালতে আমার লোকেরা ভাঙচুর করেনি। তারাই বরং আমাকে হত্যার উদ্যেশে এ হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) বেলাল হোসেন উভয় পক্ষের তরফ হতেই মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে দেখছে। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন