শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

৬ বছর আগের বিজ্ঞপ্তিতে ১২ পদে নিয়োগ হচ্ছে কুড়িগ্রাম পৌরসভায়!

এমপির অভিযোগ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর কাছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ছয় বছর আগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কুড়গ্রাম পৌরসভায় বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ ওই নিয়োগ স্থগিত রাখতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ জমা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়েও।

এমপি পনির উদ্দিনের অভিযোগ, কুড়িগ্রাম পৌরসভায় হিসাবরক্ষক, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক, সহকারী কর আদায়কারী, নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরসহ ১২টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ২০১৪ সালে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রকৃত মেধাবীদের বঞ্চিত করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাজ চলছে। তাই ওই নিয়োগ স্থগিত রাখতে সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেন। সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয় নিয়োগ স্থগিত রাখে। পৌরসভার মেয়র আব্দুল জলিল ও পৌর সচিব রেজাউল করিমসহ একটি অসাধু সিন্ডিকেট প্রতিটি পদের বিপরীতে ৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত শুক্রবার হঠাৎ করেই দু’টি জাতীয় দৈনিকে ২০১৪ সালের ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর একদিন পর রোববার লিখিত পরীক্ষা নিয়ে ওই রাতেই মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে গত বুধবার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রায় ৬ বছর আগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া ও তড়িঘড়ি করে ফলাফল প্রকাশ করায় সাধারণ মানুষ ও নিয়োগ প্রত্যাশীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা ওই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে স্বচ্ছতার সঙ্গে নতুন করে আবেদন করার সুযোগ দাবি করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র আব্দুল জলিল ইনকিলাবকে বলেন, ২০১৪ সালের ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ওপর মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশ ছিল। মন্ত্রণালয় বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে নিয়োগের বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, কোনো নিয়োগ হলেই কেউ কেউ কোটি কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ তোলেন। এসব অভিযোগ সঠিক নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, আমি সাত দিন দেশের বাইরে ছিলাম। তাই সর্বশেষ পরিস্থিতি জানি না। নিয়োগটি স্থগিত ছিল এবং সেটা মন্ত্রণালয় তদন্ত করেছে। তাদেরকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে কি না আমার জানা নেই। ছাড়পত্র দিলেও নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য হয়ে থাকলে মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন