শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

প্রয়োজনে অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার রয়েছে কাশ্মীরিদের : গ্যালোওয়ে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ব্রিটিশ রাজনৈতিক নেতারা দখলকৃত কাশ্মীরে বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং ভারতের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের মুক্তি আন্দোলনকে জোরালো সমর্থন জানিয়েছেন। শনিবার করাচিতে সেন্টার ফল পিস, সিকিউরিটি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ (সিপিএসডি) আয়োজিত ‘হিউম্যান রাইটস ইন ইন্ডিয়ান অকুপাইড কাশ্মীর’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তারা অধিকৃত অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। জর্জ গ্যালোওয়ে, লর্ড ডানকান ম্যাকনায়ের, ডেভিড ওয়ার্ড, মার্কাস সি থমলিনসেনসহ ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী, আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ও স্কলাররা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। আলভি সেমিনারে বলেন যে, ৫ আগস্ট ভারত যে পদক্ষেপ নিয়েছেÑ অতিরিক্ত সামরিক শক্তি প্রয়োগ ও অবরোধ আরোপ – সেটার কারণে আধুনিক কালের সবচেয়ে বড় ধরনের মানবিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “দমন অভিযানের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানবিক সঙ্কট আরও বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে, যেটা আগে ঘটেনি”। তিনি আরও বলেন যে, অধিকৃত কাশ্মীরের জনসংখ্যার চিত্র বদলে দেয়ার জন্যই সা¤প্রতিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ শুধু কাশ্মীরীদের বিপক্ষেই যায়নি, বরং দেশের অন্যান্য সংখ্যালঘুদেরও বিপক্ষে গিয়েছে। বিশিষ্ট ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ জর্জ গ্যালোওয়ে বলেছেন যে, কাশ্মীর ভারতীয় বাহিনীর অবৈধ দখলদারিত্বের কবলে রয়েছে এবং কাশ্মীরের মুক্তি আন্দোলন ও ভারতীয় দখলদারিত্ব থেকে তাদের স্বাধীনতার যে আকাক্সক্ষা, সেটার কারণে সৃষ্ট ভয় থেকেই ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরের মুসলিমদের বিরুদ্ধে দমন পীড়ন চালাচ্ছে। তিনি বলেন যে, কাশ্মীরের জনগণের এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে শুধু শান্তিপ‚র্ণ প্রতিবাদের অধিকারই নেই, বরং প্রয়োজন মনে করলে অস্ত্র ব্যবহারেরও অধিকার রয়েছে তাদের। তিনি আরও বলেন যে, কাশ্মীর কখনও দ্বিপাক্ষিক ইস্যু ছিল না বরং বহুপাক্ষিক ইস্যু ছিল কারণ পাকিস্তান ও ভারতের পাশাপাশি এখানে কাশ্মীরের জনগণ জড়িত।তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, কাশ্মীর সঙ্ঘাতের অবসানের জন্য বিশ্বের একটা দায়িত্ব রয়েছে কারণ এখানে দুটো পারমানবিক শক্তি জড়িত। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কোন সঙ্ঘাত লাগলে সেটা বিশ্ব শান্তির জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি বয়ে আনতে পারে। কাউন্সিল ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড রিলিজিয়াস ফ্রিডমের নির্বাহী কমিটির সদস্য লর্ড ডানকান, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড ওয়ার্ড, ব্যারিস্টার রশিদ আহমেদ, মার্কাস সি থমলিনসেন এবং আন্তর্জাতিক শান্তি কর্মী রাজা শারাজ আখতারও কাশ্মীরে ভারতীয় বর্বরতার নিন্দা করেন। এসএএম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
MHossain ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১:২৪ এএম says : 0
কাশ্মীরের স্বাধীনতকামীদের সমর্থন করা সকলের মানবিক দায়িত্ব।
Total Reply(0)
MHossain ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১:২৪ এএম says : 0
কাশ্মীরের স্বাধীনতকামীদের সমর্থন করা সকলের মানবিক দায়িত্ব।
Total Reply(0)
নাঈম বি এস এল ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১:২৫ এএম says : 0
হক কথা বলার জন্য ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
মেহেদী ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১:২৬ এএম says : 0
শুধু তাই নয়, বিভিন্ন দেশ থেকে কাশ্মীরিদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা কর্তব্য।
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম চঞ্চল ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১:২৬ এএম says : 0
কাশমীরিদের ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনকে সমর্থণ দেয়া নৈতিক দায়িত্ব।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ মোশাররফ ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১:২৭ এএম says : 0
ভারত তাদের ওপর মরণঘাতি অস্ত্র দিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে, তাহলে কেন তারা অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না।
Total Reply(0)
আবু তাহের মিসবাহ ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৩৭ পিএম says : 0
অমুসলিমরা আজ সাধারণ ও সুক্ষভাবে মুসলমানদের দলে দলে বিভক্ত করে দিচ্ছে। ওরা জানে সমস্ত মুসলমান একহলে ওদের অস্তিত্ব হুমকি, অথচ ওরা জানেনা যে, প্রকৃত মুসলমান কারো ধর্ম পালনে বাধাগ্রস্থ করে না, যেটা অমুসলিমরা করে !! আল্লাহ সকল মুসলমানদের এক হওয়ার তৌফিক দিন।
Total Reply(0)
Parikshit Dey ২৪ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:০১ পিএম says : 0
ভারত সরকার যেটা ঠিক মনে করবে কাশ্মীরে সেটাই হবে,এখানে কারোর দালালি চলবেনা।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন