পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার আব্দুল্লাহ্ বাবু মামুনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টেন্ডার পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে আজ সোমবার দরজা বন্ধ রেখে উপজেলার ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভাঙ্গার টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন করে ।
টেন্ডারে ইচ্ছুক ঠিকাদার আনোয়ার জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের জানিয়েছেন ১৯ তারিখ টেন্ডার হবে কিন্তু আজ কেন এভাবে টেন্ডার করলেন সেটা বুঝতে পারছিনা। দরজা বন্ধ করে গোপনীয় ভাবে নিলাম দেয়া সম্পূর্ণ অবৈধ । টেন্ডারে অংশ নেয়া লোকদের বের করে দিয়ে একটি পক্ষকে সকল টেন্ডার পাইয়ে দেয়া হচ্ছে। এসময় ভাইস চেয়ারম্যান রনিও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাজে ক্ষুদ্ধ হয়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তার অনুসারীরা টেন্ডারে অংশগ্রহনকারীদের রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। এরপর রুমের দরজা দিয়ে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগের কতিপয় লোকদের দিয়ে বেশি মূল্যে দুইটি টেন্ডার ও সরকারি মূল্যের অনেক নিচে ডাক দিয়ে তার পরিচিতদের মাঝে দিয়ে দেয় ।
এ ব্যাপারে নেছারাবাদ উপজেলা ভাইস চেয়ার রনি দত্ত (জয়) বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই আগে জানতাম না । ইউএনও সাহেবের রুমে গিয়ে টেন্ডারের বিষয়ে দেখতে পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে চলে আসি । তিনি উপজেলা পরিষদে তার মত করে চালায় এখানে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়াম্যান কারো সাথে কথা বলেন না বা সমন্বয়ও করেন না ।শুধু তাই নয় উনি যোগদানের পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সরকারি ডাকে নির্ধারিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে একাই আত্মসাৎ করেন ।
নেছরাবাদ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক মোবাইল জানান, এ ধরণের নিলাম হবে উন্মুক্ত ভাবে। দরজা বন্ধ রেখে গোপনে টেন্ডার দেয়া হচ্ছে আমিও শুনেছি কিন্তু টেন্ডারের বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জানার জন্য নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার আব্দুল্লাহ্ বাবু মামুনের মুঠোফোনে ( ০১৭১৯৭৫৩৬৩৮ ) একধিকবার ফোন করলেও রিসিভি করেনি ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন