শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএনপির চিঠিতে খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা নেই

সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বিএনপি নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চান কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয়েছে। সেখানে কোথাও খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নেই। চিঠির মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভারত সফরে গিয়েছিলেন, সেখানে যে চুক্তি হয়েছে তা জনগণ জানে না। তাই প্রশ্ন জাগে, বিএনপি নেতারা কি আদৌ খালেদা জিয়ার মুক্তি চান? গতকাল সোমবার সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন কোনো চুক্তি করেননি। যে চুক্তিগুলো হয়েছে তা হলো সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই। এর বাইরে আমরা ভারতের কাছ থেকে লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় একটা ঋণ সুবিধা পাই। সেটি দেয় ভারতের এক্সিম ব্যাংক। সেই এক্সিম ব্যাংক ঢাকায় একটি অফিস করতে চায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই চিঠির মাধ্যমে বিএনপি নেতারা প্রমাণ করেছেন তারা এমওইউ এবং চুক্তির মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী সব সময় বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে সফরের যাবতীয় বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন, সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতিকে জানান, সংসদে উপস্থাপন করেন, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতাদের প্রশ্নের জবাবে ব্যাখ্যা দেন। এবার ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে সেটা করেছেন। এ বিষয়ে বিএনপির এমপিদের প্রশ্নের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিএনপির এই চিঠি অন্তঃসারশূন্য।

বিএনপি ভারতবিরোধী রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ফেনী নদীর পানি ভারতে দেয়ার বিষয়ে একটি এমওইউ সই হয়েছে। ফেনী নদীতে প্রবাহিত পানির চারশ’ ভাগের একভাগ পরিমাণ পানি খাবার বাবদ নেবে ভারত। এটি আগেও নিত। এবার আলোচনার মাধ্যমে এটি নিষ্পত্তি হয়েছে। বাংলাদেশ এলপিজি গ্যাস উৎপাদন করে না, আমদানি করে। আমদানি করা এলপিজি গ্যাসের অতিরিক্ত আমরা ভারতে রফতানি করব, সেই চুক্তি হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে রফতানি পণ্যের ঝুড়িতে আরেকটি পণ্য যুক্ত হলো।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার করতে চায় ভারত। আমরা তাদের এ দু’টি বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছি। এ ব্যাপারে এসওপি সই হয়েছে। তারা এ দু’টি বন্দর ব্যবহার করে আমাদের রেভিনিউ দেবে। এতে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। এই এসওপি সই অর্থনীতির জন্য সহায়ক। নেদারল্যান্ডস এবং সিঙ্গাপুর নিজেদের বন্দর অন্যদের ব্যবহার করতে দিয়ে তারা সমৃদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের রাডার সিস্টেম সমৃদ্ধ নয়। তাই ভারতের আর্থিক সহায়তায় বঙ্গোপসাগরে কোস্টগার্ডের জন্য রাডার যন্ত্র স্থাপন করব। আমরা নিজেরাই কিনব, স্থাপন করব, ব্যবহার করব। আর ভারত শুধু অর্থ দেবে। সেই চুক্তি হয়েছে।

বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া তার শাসনামলে দুইবার ভারত সফর করেছিলেন। তখন সাতটি চুক্তি হয়েছিল। তা কি ফিরে এসে প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেছিলেন? সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন? সংসদকে জানিয়েছিলেন? খালেদা জিয়া তো সংসদেই যেতেন না। পাঁচ বছরে সাত দিন সংসদে গিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার এই ভারত সফর দেশ ও মানুষের স্বার্থে। ভারতের সঙ্গে মামলা করে শেখ হাসিনা সরকার সমুদ্র জিতেছে। ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দীর্ঘদিনের ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন