বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গোদাগাড়ীর পাখি প্রেমিক সাজ্জাদ আলী

গোদাগাড়ী, রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০১৯, ১:২১ পিএম

প্রেম ভালবাসা বিচিত্র ধরনের হতে পারে যা লিখে শেষ করা যাকে না। এমন এক পাখি প্রেমিকের সন্ধান পাওয়া গেছে তার নাম সাজ্জাদ আলী। রাজশাহী-কাঁকনহাট রোডেই পড়ে ঝিকড়া নামে গ্রাম। সেই গ্রামের অধিবাসী সাজ্জাদ আলী। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার। তার বাড়ীর সীমানাটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে পাখিদের অভয়ারণ্য। সাজ্জাদ আলীর উঠোনের বট, পাকুড়, কড়ই, বাবলা গাছগুলো ভর্তি বক, পানকৌড়ির বাসায়। এত অজস্র পাখি, না দেখলে বিশ্বাস হয়না। কয়েক প্রজাতির বকই আছে অসংখ্য। শোনা গেল এলাকার কেউই পাখিদের অনিষ্ট করেনা, করতে দেয়ও না। এখানে কেউ এসব পাখি ধরতে বা শিকার করতে চাইলে এলাকার অধিবাসীরাই রুখে দাঁড়ায়। এখানে যে ছেলে মেয়েরা বড় হয় তারা এই পাখি গুলোকে ভালোবাসতে শিখে যায়, রক্ষাও করতে চেষ্টা করে আপ্রাণ। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরাও মাটিতে কোন পাখির ছানা পড়ে থাকতে দেখলে নিজেরাই গাছে চড়ে সেই ছানা পাখির বাসায় তুলে দেয়। এরকমই চলছে অনেক বছর ধরে। নেহাত সাধারন মানুষরাই গড়ে তুলেছে এই অভয়ারণ্য। এদের বন্য-প্রাণী নিয়ে সম্মেলন করতে হয়নি, কোন স্পনসরশিপও নেই, নিছক প্রাণের টানে গড়ে ওঠা এই অভয়ারণ্য। সাজ্জাদ সাহেবের বাড়ীর কাছেই একটা বিল, সেখানেই খাবার পেয়ে যায় এই পাখি গুলো, কিন্তু বিলের আশে পাশের অন্য গ্রাম গুলোতে এরা বাসা বানায়নি বানিয়েছে এইখানে এই পাখি প্রেমী মানুষ গুলোর ভালোবাসায়। সাজ্জাদ আলী , পাখিকে কেউ আঘাত করলে, শিকার করলে আজানানমি খুব কষ্ট পাই। প্রেম ভাল বাসা থেকেই এ তাড়ায় না, ,শিকার করে না। করলে গ্রামের সাবাই প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ঝিকড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘ দিন থেকে সাজ্জাদ আলী এ মহৎ কাজিট করে যাচ্ছেন। শিক্ষক, ছাত্র, ছাত্রী, কৃষক শ্রমিকসহ সবাই সাজ্জাদ আলীকে পাখি প্রেমিক হিসেবে জানে, সবাইতাকে সম্মান করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন