গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট বাজারে বুধবার দুপুরে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে। অগ্নিকান্ডে প্রায় দুই শতাধিক দোকান ঘর ভস্মীভূত হয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানায়, দুপুর পৌনে ১টার দিকে আকস্মিকভাবে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয় এবং মূহুর্তের মধ্যে তা পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত জনতা তাৎক্ষণিকভাবে আশেপাশের বাড়ী ও বিভিন্ন জলাধার থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই কাপড়ের দোকান, মসলার দোকান ও কাঁচা সবজির দোকান সহ প্রায় দুই শতাধিক দোকান আগুনে ভস্মীভূত হয়।
আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত নাকাইহাট বাজার জনসমুদ্রে পরিণত হয়। তবে শত চেষ্টা করেও দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান আগুনের লেলিহান শিখার হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি। অনেক ব্যবসায়ী পরিবারের লোকজনকে তাদের সর্বস্ব ভস্মীভূত হওয়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। অনেকেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ করেছেন ফায়ার সার্ভিসকে আগুন লাগার সাথে সাথে খবর দেয়া হলেও অনেক দেরিতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশী হয়েছে।
খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা এবং সাঘাটা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে এ অগ্নিকান্ডের সঠিক কোন কারণ জানা না গেলেও অনেকেই ধারণা করছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে রওনা দেন এবং পার্শ্ববর্তী সাঘাটা ফায়ার সার্ভিসকেও বিষয়টি জানান। তবে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশী হয়েছে।
সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃঞ্চ বর্মন, গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মেহেদী হাসান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন