শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আদিগন্ত

বদরের চেতনার আলোকে মুসলিম বিশ্বের অবস্থা

প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এসএম সাখাওয়াত হুসাইন
আজ ১৭ রমযান ঐতিহাসিক বদর দিবস। মদিনা থেকে ৮০ মাইল দূরে বদর নামক স্থানে সংঘটিত হয়েছিল হক ও বাতিলের মধ্যে সম্মুখযুদ্ধ। কাফেরদের দুর্ধর্ষ ১০০০ সশস্ত্র যোদ্ধার মোকাবিলায় নিরস্ত্র ও দুর্বল ৩১৩ জনের মুসলিম বাহিনী বিজয় অর্জন করেছিল। এ যুদ্ধ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। “সেই দুই দলের মধ্যে তোমাদের জন্য অনেক নিদর্শন ছিল, যারা (বদরে) পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। একটি দল আল্লাহর পথে লড়াই করছিল আর অপর দলটি ছিল কাফের। চক্ষুষ্মান লোকেরা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিল যে, কাফিরদের দল মুমিনের দল অপেক্ষা দ্বিগুণ, কিন্তু (ফল প্রমাণ করল যে) আল্লাহ যাকে চান তাকেই তাঁর সাহায্য ও বিজয় দান করেন। বস্তুত দৃষ্টিমান লোকদের জন্য এতে খুবই উপদেশ ও শিক্ষার বস্তু নিহিত রয়েছে” (সূরা আলে ইমরান : ১৩)।
আল্লাহর একত্ববাদের ভিত্তিতে গঠিত ইসলামী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাফির সম্প্রদায়ের চাপিয়ে দেয়া এ যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। মক্কাসহ দুনিয়ার তাবৎ কুফরী শক্তি মনে করেছে, হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ভূখা নাঙ্গা হতদরিদ্র অসহায় বাহিনীকে বদরের প্রান্তরে নিমিষেই শেষ করে দেয়া যাবে। ৬২৩ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চ কুরাইশদের বিরাট এক কাফেলা সিরিয়া থেকে প্রত্যাবর্তনকালে মুসলিম অধিকৃত এলাকার কাছাকাছি এসে পৌঁছল। কাফেলাটির সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার আশরাফী মূল্যের ধন-মাল এবং ৩০/৪০ জনের মতো তত্ত্ব¡াবধায়ক ছিল। তাদের ভয় ছিল মদিনার নিকট পৌঁছলে মুসলমানরা হয়তো তাদের উপরে হামলা করে বসতে পারে। কাফেলার নেতা ছিল আবু সুফিয়ান। সে এ বিপদ শঙ্কা উপলব্ধি করেই এক ব্যক্তিকে সাহায্যের জন্য মক্কায় পাঠিয়ে দিল। ঐ লোকটি পৌঁছেই এ বলে শোরগোল শুরু করল যে, তাদের কাফেলার উপর মুসলমানরা লুটতরাজ চালাচ্ছে সুতরাং সাহায্যের জন্য সবাই ছুটে চলো। কাফেলার সঙ্গে যে ধন-মাল ছিল, তার সাথে বহু লোকের স্বার্থ জড়িত ছিল। ফলে একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হলো। তাই সাহায্যের ডাকে সারা দিয়ে কুরাইশদের সমস্ত বড় বড় সর্দারই যুদ্ধের জন্য বেরিয়ে পড়ল। এভাবে প্রায় এক হাজার যোদ্ধার এক বিরাট বাহিনী তৈরি হয়ে গেল এই বাহিনী অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনা ও শান-শওকতের সঙ্গে মক্কা থেকে যাত্রা করল। এদের হৃদয়ে একমাত্র সংকল্প মুসলমানদের অস্তিত্ব এবার নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে হবে। যেন প্রতিদিনের এই ঝামেলা চিরতরে মিটে যায়। একদিকে তাদের ধন-মাল রক্ষায় আগ্রহ, অন্যদিকে তাওহীদবাদীদের সাথে পুরনো দুশমিন ও বিদ্বেষের তাড়না এই দ্বিবিধ ক্রোধ ও উম্মাদনার সঙ্গে কুরাইশ বাহিনী মদিনা আগমনের উদ্দেশ্য যাত্রা করল।
এদিকে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে ও এই পরিস্থিতি সম্পর্কে যথারীতি খবর পৌঁছাতে লাগল। তিনি বুঝতে পারলেন, এবার সত্য সত্যই মুসলমানদের সামনে এক কঠিন সঙ্কটকাল উপস্থিত হয়েছে। এবার যদি কুরাইশরা তাদের লক্ষ্য অর্জনে সফলকাম হয় এবং মুসলমানদের এই নতুন সমাজ-সংগঠনটিকে পরাজিত করতে পারে। তাহলে ইসলামপন্থিদের পক্ষে সামনে এগোনো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। এমনকি এর ফলে ইসলামের আওয়াজ হয়তো চিরতরে স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে।
মদিনায়, হিযরতের পর এ যাবত দুটি বছরও অতিক্রান্ত হয়নি। মুহাজিরগণ তাদের সবকিছুই মক্কায় ফেলে এসেছে এবং এখনো তারা রিক্তহস্ত। আনছারগণ যুদ্ধ সম্পর্কে অনভিজ্ঞ। অন্যদিকে ইহুদিদের অনেকগুলো গ্রোত্র বিরুদ্ধতার জন্য প্রস্তুত। খোদ মদিনায় মুনাফিক এবং মুশরিকদের অবস্থিতি এক বিরাট সমস্যার রূপ পরিগ্রহ করেছে। এমনি অবস্থায় যদি কুরাইশরা মদিনা আগমন করে তাহলে মুসলমানদের এই মুষ্টিমেয় দলটি হয়তো নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। আর হামলা যদি নাও করে বরং আপন শক্তি বলে শুধু কাফেলা মুক্ত করে নিয়ে যায় তবুও মুসলমানরা শক্তি হারিয়ে ফেলবে। মুসলমানদের জব্দ করতে আশপাশের গোত্রগুলোকে কোনো বেগ পেতে হবে না। কুরাইশদের ইঙ্গিতে তারা নানাভাবে মুসলমানদের উত্ত্যক্ত করতে শুরু করবে।
এদিকে, মদিনার ইহুদী, মুনাফিক ও মুশরিকগণ ও মাথা তুলে দাঁড়াবে। ফলে মুসলমানদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। এসব কারণেই রাসূলুল্লাহ (সা.) সিদ্ধান্ত নিলেন যে, বর্তমানে যতটুকু শক্তিই সঞ্চয় করা সম্ভব, তা নিয়েই ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এবং মুসলমানদের আপন বাহুবল দ্বারা টিকে থাকা প্রমাণ করতে হবে। এই সিদ্ধান্তের পর নবী করীম (সা.) মুহাজির ও আনছারগণকে জমায়েত করে তাদের সামনে সমগ্র পরিস্থিতি তুলে ধরে বললেন, “একদিকে মদিনার উত্তর প্রান্তে রয়েছে ব্যবসায়ী কাফেলা আর অন্যদিকে দক্ষিণ দিকে থেকে আসছে কুরাইশদেগর সৈন্য সামন্ত। আল্লাহ ওয়াদা করেছেন যে, এর যে কোনো একটি তোমরা বিজয় লাভ করবে। বলো তোমরা এর কোনটির মোকাবিলা করতে চাও?” জবাবে বহু সাহাবি কাফেলার উপর আক্রমণ চালানোর আগ্রহ প্রকাশ করলেন। কিন্তু নবী করীম (সা.)-এর দৃষ্টি ছিল সুদুরপ্রসারী। তাই তিনি তাঁর প্রশ্নটির পুনরাবৃত্তি করলেন। এরপর মুহাজিরদের ভেতর থেকে মিকদাদ বিন আমর (রা.) দাঁড়িয়ে বললেন। হে আল্লাহর রাসূল! প্রভু আপনাকে যেদিকে আদেশ করেছেন, সেদিকেই চলুন। আমরা আপনার সঙ্গে আছি। আমরা বনি ইসরাঈলের মতো বলতে চাই না, যাও তুমি এবং তোমার আল্লাহ গিয়ে লড়াই কর। আমরা এখানে বসে থাকব। বিশ্বসেরা সমরবিদ রাসূলুল্লাহ (সা.) মদিনার আনছারদের মতামত গ্রহণের জন্য জানতে চাইলেন, এরপর সাদ বিন মা’আজ (রা.) দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল আমরা আপনার প্রতি ঈমান এনেছি। আপনাকে সত্য বলে মেনে নিয়েছি এবং আপনি যা কিছু নিয়ে এসেছেন তা সবই সত্য বলে সাক্ষ্য দিয়েছি। সর্বোপরি আমরা আপনার অনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেছি। অতএব, আপনি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাই কাজে পরিণত করুন। যে মহান সত্তা আপনাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন তাঁর কসম; আপনি যদি আমাদের সমুদ্রে নিয়েও ঝাঁপ দেন তবুও আমরা আপনার সাথে থাকব। এবং এ ব্যাপারে আমাদের একটি লোকও পিছু হটবে না। আমরা যে শপথ নিয়েছি যুদ্ধকালে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। নিবেদিত প্রাণের ন্যায় আমরা শত্রুদের মোকাবিলা করব। কাজেই আল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি আমাদের দ্বারা আল্লাহ এমন জিনিস দেখাবেন যা দেখে আপনার চক্ষু শীতল হয়ে যাবে। অতএব, আল্লাহর রহমত ও বরকতের উপর ভরসা করে আপনি আমাদের নিয়ে এগিয়ে চলুন।
এই বক্তৃতার পর স্থির করা হলো যে, কাফেলার পরিবর্তে সৈন্যদেরই মোকাবিলা করা হবে। কিন্তু এটা কোনো সাধারণ সিদ্ধান্ত ছিল না। কারণ কুরাইশদের তুলনায় মুসলমানদের সংগঠন ছিল খুবই দুর্বল। এর মধ্যে যুদ্ধ করার মতো যোগ্য লোকের সংখ্যা ছিল তিনশ’র চেয়ে কিছু বেশি তার মধ্যে ঘোড়া ছিল মাত্র দু-তিন জনের কাছে। উট ছিল মাত্র সত্তরটির মতো, যুদ্ধের সাজসরঞ্জামও ছিল অপ্রতুল। মাত্র ষাট ব্যক্তির কাছে ছিল লৌহবর্ম। এ কারণে মাত্র কতিপয় মুসলমান ছাড়া বাদবাকি সবারই মনে ভীতির সঞ্চার হলো, তাদের এ অবস্থা দেখে মনে হতে লাগল, যেন জেনেশুনে তারা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে। সূরা আনফালের আয়াতে এই দৃশ্যই ফুটে উঠেছে।
“হে নবী এই লোকগুলোর তো আপন বাড়িঘর থেকে তেমনি বের হওয়া উচিত ছিল। তোমার প্রভু তোমার সত্য সহকারে তোমাদর গৃহ থেকে বের করে এনেছেন; কিন্তু মুমিনদের একটি দলের কাছে এ ছিল অত্যন্ত অপছন্দনীয়। তারা সত্য সুস্পষ্টরূপে প্রতিভাত হওয়ার পরও সে সম্পর্কে তোমার সঙ্গে তর্ক করছিল। তাদেরকে যেন দৃশ্যমান মৃত্যুর দিকে ঠেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ের কথা স্মরণ করো, যখন আল্লাহ তোমাদের ওয়াদা করেছিলেন (আবু সুফিয়ান ও আবু জেহেলের) দুই দলের মধ্যে থেকে কোনো একটি তোমাদের করায়ত্ত হবে। আর তোমরা চেয়েছিলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল (অর্থাৎ নিরস্ত্র দলটিকে বশীভূত করতে। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা ছিল তিনি আপন বিধানের দ্বারা সত্যকে অজেয় করে রাখবেন এবং কাফিরদের মূলোচ্ছেদ করে দেবেন। যেন সত্য সত্যেই হয়ে থাকে মিথ্যা মিথ্যাই থেকে যায় অপরাধীদের কাছে এটা যতই অপছন্দনীয় হোক না কেন।”
এ যুদ্ধে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছিল মুহাজিরদেরকে। এদের প্রতিপক্ষে ছিল আপন ভাই, পুত্র এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন। কারো বাপ, কারো চাচা, কারো মামা, কারো ভাই ছিল তার তলোয়ারের লক্ষ্যবস্তু এবং নিজ হাতে তাদের হত্যা করতে হয়েছিল এইসব কলিজার টুকরাকে। এই পরীক্ষায় কেবল তারাই টিকে থাকতে পেরেছিল যারা সাচ্চা দিলে আল্লাহর সাথে ওয়াদা করেছিল; যেসব সম্বন্ধকে তিনি বজায় রাখতে বলেছেন, তারা শুধু তা-ই বজায় রাখবে আর যেগুলোকে ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেনÑ তা যতই প্রিয় হোক না কেনÑ তারা ছিন্ন করে ফেলবে।
বস্তুত ঈমানের একটি স্তরে উন্নিত হবার পরই বান্দার জন্যে আল্লাহর সাহায্যে অবতীর্ণ হয়ে থাকে, বদর যুদ্ধ তার জলন্ত উদাহরণ। এ যুদ্ধে কোরাইশদের ৭০ জন সৈন্য নিহত ও সমান সংখ্যক লোক বন্দি হয়। মুসলমানদের পক্ষে মাত্র ৬ জন আনছার ও ৮ জন মুহাজির শহিদ হন।
মুসলিম বিশ্বের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করলে যে বিষয়টি সর্বপ্রথম তুলে ধরতে হয় তা হলো মুসলিম বিশ্বের শাসকরা আজ এক আল্লাহর পরিবর্তে দুনিয়ার কথিত শক্তিধরদের পদলেহন করে ইসলামের আপসহীন অবস্থানকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। তারা মডারেট মুসলিম হতে গিয়ে মদের বোতলেও চুমুক দেয়, নাচের আসরেও যোগ দেয়, মাঝে মাঝে উদার মনের পরিচয় দিতে গিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধেও অবস্থান গ্রহণ করে কাফের-মোশরেকদের বাহবা কুড়ায়। মুসলামানদের হাতে যে সম্পদ আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা দিয়েছেন সে অবস্থায় পৃথিবীর কোনো শয়তানি শক্তির কাছে মাথা নত করার প্রশ্নই আসে না। অন্যদিকে ইসলামের নামে দল-উপদল, বিভিন্ন মতবাদ, মাজহাবসহ ছোটখাটো বিষয় নিয়ে উম্মাহর মধ্যে চরম বিভক্তিতে আমাদের শক্তি দিনদিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আবার ইসলামের নামে একটি গোষ্ঠীকে মানুষ মারার লাইসেন্স দিয়ে জঙ্গিবাদের ধোঁয়া তুলে বিশ্বব্যাপী চলছে মুসলিম নিধন। পৃথিবীর ইতিহাস স্বাক্ষী অন্যায়ভাবে একটি পিপড়া মারাকেও ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলামের যত যুদ্ধ হয়েছে সবগুলোই রক্ষণাত্বক আক্রমণাত্বক নয়। অথচ, আজ যেখানেই বিভিন্নভাবে মানুষ মারা হচ্ছে সেখানেই একটি ইসলামী গোষ্ঠীর দায় স্বীকার করে বার্তা অতঃপর সাধারণ মুসলিমদের উপর নেমে আসছে জালিমের অত্যাচার। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয় ।
আজ সারা দুনিয়ার কুফরি, মুশরেকী ও মুনাফিক শক্তি বদর যুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে যখন ঐক্যবদ্ধ তখন আমরা দুনিয়ার উচ্ছিষ্ট ভোগের জন্য কাফের-মুশরেকদের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছি কে কত বড় দুনিয়া পূজারী হব। অথচ বদরযুদ্ধের সৈনিকেরা কেউই দুনিয়ার ভোগ বিলাসিতার জন্য নিজেদের জীবনকে আল্লাহর পথে নিবেদন করেননি তারা নিবেদন করেছেন একমাত্র আল্লাহত‘াআলা ও তার রাসূল (সা.)-এর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। বদর দিবসের শিক্ষা হলো নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি ও কর্মী বাহিনীর উপর ভরসা না করে সকল অবস্থায় একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করা। আল্লাহর কাছে দোয়া করা। পরিস্থিতি যত প্রতিকূলেই যাক না কেন কোনো অবস্থাতেই বাতিলের সাথে আপস না করা। আল্লাহ আমাদের প্রকাশ্যে বিজয় দান করুন, আমীন!
য় লেখক : সাংবাদিক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন