গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর তার পিতা নুরুল ইসলাম মাস্টার (৮০) মারা গেছেন। গত ২০ নভেম্বর গভীর রাতে পৌর এলাকার ভাঙনাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুল ইসলাম ভাঙনাহাটি প্রাইমারি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পিতার সামনে ছেলেকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করায় ছেলের কষ্ট সইতে না পেরে তার পিতা মারা গেছেন।
জানা যায়, উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের পটকা গ্রামের প্রোস্টার এপারেলস লি: (চায়না) ফ্যাক্টরির ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আ.লীগের নেতৃবৃন্দ দু’টি ভাগে বিভক্ত ছিল। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গত বেশকিছুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গত ১৯ নভেম্বর সকালে কারখানার শ্রমিকবাহী কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগে যুবলীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলমের চাচাত ভাই ইউসুফ প্রধান বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। গত বুধবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে খোরশেদ আলমসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ভাঙনাহাটি গ্রামের নুরুল ইসলাম মাস্টারের পুত্র খোরশেদ আলম, ইমরান হোসেন, আব্দুল মোতালেবের পুত্র দেলোয়ার হোসেন ও শ্রীপুর পৌর এলাকার ঢালীর পুত্র ঔরভ আলী।
শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, গাড়ী ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন