শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আধা কি.মি. এলাকা বিষখালীতে বিলীন

বুলবুলের তান্ডবের রেশ

মো. জাকির হোসাইন, বামনা (বরগুনা) থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:২৭ এএম

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বরগুনার বামনা উপজেলাসহ ১০টি জেলায় তান্ডব চালায়। এতে অনেক লোকের প্রাণহানী ঘটে। বামনা উপজেলায় প্রাণ হানী না হলেও সহস্রাধিক কাঁচা-পাকা ঘর, গোয়াল ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কয়েকশ’ মাছের ঘের তলিয়ে যায়। বিনষ্ট হয় পানের বরজ। আমন ও রবি শস্যের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এদিকে বামনা উপজেলার পাশ দিয়ে বিষখালী নদীর তীরবর্তী চেচাঁন গ্রামের প্রায় আধাকিলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ রামনা এলাকার প্রায় ১ কিলো নদীর তীরবর্তী অব্যহত ভাঙনের মুখে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে বেরীবাধ রক্ষা করা সম্ভব হবেনা। রামনা ফুলঝুড়ী খেয়া ঘাটের রামনার এপারে যাত্রী ছাউনী নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়াছে। দক্ষিণ কাকচিড়া, চলাভাঙা, কালিকাবাড়ি, চেচাঁন, কাটাখালী ও পুরাতন বামনা এলাকায় ভাঙনের ফলে অনেক মানুষই গৃহহীন হয়ে দেশের বিভিন্ন যায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। ২০০৭ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডর পরবর্তী বিষখালী নদীর ভাঙন শুরু হলে সেই ভাঙনই অব্যাহত আছে। কালিকাবাড়ি গ্রামের ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ এলাকার দিনমজুর আ. হাকিম জানান, মোগো মোনেহয় কেহো দ্যাহেনা, মোগো ঘর-দুয়ার আর কয়দিন পর নদীতে খাইয়া হালাইবে। ভাঙন কবলিত রামনা হাজী বাড়ি সংলগ্ন পাকা সড়কের পাশে হালিমা খাতুন বলেন মোরা কোম্মে থাকমু আল্লাহ তুমি মোগো সাহায্য করো।
এ ব্যপারে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কাউছার আলম জানান ইতোমধ্যে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি মহোদয় ভাঙল কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। অচিরেই ভাঙল রোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাবরিনা সুলতানা জানান, আমি বামনা উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন