শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সাপে কামড় দেয়ার পরও ক্লাস নিতে ব্যস্ত শিক্ষিকা; অতঃপর ছাত্রীর মৃত্যু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:১২ পিএম
ভারতের কেরালার ওয়ানাড জেলার সুলতান বাথেরিতে ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় সাপের কামড়ে মৃত্যু হলো নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর। গতকাল বুধবার এ ঘটনাটি ঘটেছে। ছাত্রীর মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্যরা এসে রীতিমতো প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষের এ ধরনের অমানসিকতা, উদাসীনতা এবং চরম গাফিলতার কারণে স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নিহত ছাত্রীর স্বজনরা। তারপর অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। অভিযোগ উঠেছে, স্কুলের একটি অফিসরুমেও ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
সাপে কামড়ানোর সময় স্কুলে ছিল পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী। সে জানিয়েছে, সাপে কামড়ানোর ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দেননি শ্রেণি শিক্ষিকা। পঞ্চম শ্রেণির অপর এক ছাত্রী এস শেহালা এমনই অভিযোগ করেছে। শেহালার কথায়, স্কুল টিচারকে সাপের কামড় বিষয়ে বলা হয়েছিল। কিন্তু সামান্য ঘটনা বলে উড়িয়ে দেন তিনি।
পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ছাত্রীকে। কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া মাত্রই দেখা যায়, ওই ছাত্রীর পায়ের রং একেবারে নীল বর্ণের হয়ে গেছে।
স্কুলের অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা অভিযোগ করেছেন, স্কুলটি খানা-খন্দে ভরে গেছে। বহুবার বলা সত্তে¡ও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা অভিযোগ করেছে, বেলা ৩টা ১০ মিনিটে ওই ছাত্রীকে সাপে কামড়ায়। কিন্তু তার বাড়ির লোকজন না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন স্কুলের স্যারেরা। ছাত্রীদের আরো অভিযোগ, তার প্রাণ বেঁচে যেত যদি স্কুল থেকে দ্রæত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হত।
অন্যদিকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পি মোহানান বলছেন, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ভুল নেই। আমরা যথাসাধ্য যত দ্রæত সম্ভব ওকে হাসপাতালে নিয়ে গেছি। যত দোষ ওই তালুক হাসপাতালের। আর ঠিক তারপরেই জেলা শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে বরখাস্ত করা হয় ক্লাস টিচারকে।


 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন