ইসরায়েল সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখন্ডতা লঙ্ঘন করার পাশাপাশি ইরাক ও জর্ডানের আকাশসীমাও লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া।
সিরিয়ায় ইসরায়লি বিমান হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে সংঘাতের সম্ভাবনাও বেড়েছে। ইহুদি রাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন মন্তব্য করেছে।
গত মঙ্গলবার সকালে, ইসরায়েল চারটি রকেট দিয়ে সিরিয়ার গুদাম এবং কমান্ড সেন্টারসহ ২০টি ইরানি ও সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুকে কেন্দ্র করে হামলা চালায়।
মস্কোর মতে, ইসরায়লের বিমান হামলার ফলে হাজার হাজার সেনা ও বেসামরিক নাগরিক মৃত্যুবরণ করেছে। মঙ্গলবারের হামলার পর ব্রিটিশভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি অফ হিউম্যান রাইটস বলেছে, এই হামলার ফলে ২৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৬ জন সিরিয়ার নাগরিক ছিল না।
ইহুদিবাদী রাষ্ট্র তৈরি করতে এবং সিরিয়ার আত্মরক্ষার জন্য ইরান এবং অন্যান্য দেশ থেকে সহায়তা রুখতে ২০১৩ সাল থেকে ইসরায়ল আধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামাদী নিয়ে সিরিয়ার উপর আক্রমণ শুরু করে।
মস্কো ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সিরিয়ার সংঘাত বন্ধের পক্ষে রাষ্ট্রপতি বাশার আসাদের পক্ষে হস্তক্ষেপ করেছিল এবং ইসরায়ল ও রাশিয়া যেন সিরিয়াকে কেন্দ্র করে আর কোনো সংঘাত না হয় সেজন্য একটি সিদ্ধান্তে এসে সবাইকে নিয়ে একমত হয়েছিলো। কিন্তু সেই প্রচেষ্টাও কিছুদিন পর বিফলে যায়।
রাশিয়ার মতে, ইসরায়েল গত সপ্তাহেই সিরিয়ার ভূখন্ডে চারবার হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ১২ নভেম্বর প্রবীণ ফিলিস্তিনি ইসলামী জিহাদ কমান্ডার আকরাম আল-অজৌরির ওপর হামলাও ছিল।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে, ইরাক ও জর্ডানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে সিরিয়ার ইরাকি সীমান্তের নিকটবর্তী আল-বোকমাল অঞ্চলে ১৮ নভেম্বর আইএএফ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় ইসরায়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন