বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মালয়েশিয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে পাকিস্তানের জেএএফ-১৭ থান্ডার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:৫৮ পিএম

রয়্যাল মালয়েশিয়ান এয়ারফোর্স (আরএমএএফ) শিগগিরই লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট/ফাইটার লিড-ইন ট্রেইনার (এলসিএ/এফএলআইটি) প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার জন্য আরএমএএফ যে আটটি এয়ারক্রাফটের শর্টলিস্ট করেছে সেগুলো হলো, পাকিস্তান ও চীনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার, চীনের এল-১৫এ/বি, সাবে’র জাস-৩৯ গ্রিপেন, কোরিয়ার এফএ-৫০ ফাইটিং ঈগল, চেক প্রজাতন্ত্রের এল-৩৯এনজি, রাশিয়ার ইয়াক-১৩০, ইতালির এম৩৪৬ ও ভারতের তেজাস।

এয়ার-টু-এয়ার ও এয়ার-টু-সারফেস (স্থল ও সমুদ্র) অপারেশনের জন্য মাল্টি-মিশন এয়ারক্রাফট এবং এডভান্সড জেট ট্রেনিংয়ের জন্য এয়ারক্রাফট চায় আরএমএএফ। তবে, এগুলোকে ব্যয়শাস্ত্রয়ীও হতে হবে। আরএমএএফে’র পুরনো বিএই সিস্টেমসের হক ও এরোমাচ্চি এমবি৩৩৯ ট্রেইনার ও মিকোইয়ান মিগ-২৯ জঙ্গিবিমান পরিবর্তনের জন্য এলসিএ/এফএলআইটি’র চাহিদা হলো ৩৬টি এয়ারক্রাফট। বিকল্প হিসেবে আরো ২৬টি রাখা হবে।

তবে মালয়েশিয়া এ ব্যাপারে কাউন্টারট্রেড এগ্রিমেন্ট তথা জঙ্গিবিমানের বদলে পামওয়েল সরবরাহের চুক্তি করতে চায় কিনা তা স্পষ্ট নয়। উপরে উল্লেখিত প্রতিটি সরবরাহকারীই তাদের প্রস্তাবের সঙ্গে ঋণ প্রস্তাবও দিতে পারে। ফলে কাউন্টারট্রেড মূল ইস্যু হবে না।

২০১৭ সালের শেষ দিক থেকেই মালয়েশিয়া নতুন মাল্টি-রোল ফাইটার কেনার চেষ্টা শুরু করে। তখন দেশটির বিবেচনায় মিগ-৩৫ ও ইউরোফাইটার টাইফুনের মতো মিডিয়াম-ওয়েট প্লাটফর্মও ছিলো। পাকিস্তান এরোনটিক্যাল কমপ্লেক্স ২০১৫ ও ২০১৬ সালে যথাক্রমে মিয়ানমার ও নাইজেরিয়ার কাছ থেকে অর্ডার পাওয়ার পর এখন মালয়েশিয়া ও আজারবাইজান থেকেও অর্ডার লাভের চেষ্টা করছে। চীনের প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে প্রতিযোগিতা হলেও মালয়েশিয়াকে ঋণ প্রস্তাব দানের ক্ষেত্রে চীনের সহায়তা পেতে পারে পাকিস্তান। অন্যান্য সরবরাহকারীর কাছ থেকেও তুলনামূলক প্রস্তাব আসতে পারে। এফ-৫০ ও তেজাজের পক্ষ থেকে এ ধরনের জোরালো প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন