অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের বিশাল এলাকা সৃষ্ট দাবানলের ধোঁয়ায় ভয়াবহ আকারে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। বায়ু দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দূষণের কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে মানুষের ভিড় বাড়ছে; চালকদের গাড়ি চালাতেও মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
টানা চতুর্থদিনের মতো শুক্রবার সকালেও অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর সিডনির বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙে ঘন ধোঁয়াশা আর তেজোদ্দীপ্ত সূর্যের মধ্যে। অস্ট্রেলিয়ার তাপমাত্রা এখন এত বেশি যে এর সামান্য অবনমনও দেশজুড়ে দাবানলের সঙ্গে ধারাবাহিক লড়াই চালিয়ে যাওয়া দমকল কর্মীদের কাছে স্বস্তির প্রকাশ পায়।
এসব দাবানলের ধোঁয়া উপকূলীয় শহর সিডনিকে গত সপ্তাহে বায়ু দূষণের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে বাজে ১০টি শহরের একটিতে পরিণত করেছে। গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালেও এয়ার ভিজুয়াল গেøাবাল র্যাংকিংয়ে শহরটির অবস্থান ছিল ১০-এ; জাকার্তা ও শেনঝেনের ওপরে, মুম্বাই-কলকাতার নিচে। গত সপ্তাহে এ র্যাংকিংয়ে সিডনি একবার ৮-এও স্থান করে নিয়েছিল।
দাবানল, দূষণের এ বিপর্যয়কর পরিস্থিতি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। এমন বিরূপ অবস্থায়ও তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না, অভিযোগ অনেকের। দূষণ থেকে বাঁচতে সিডনিতে কাজ করতে আসা শ্রমিক ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক দেখা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দমকল কর্মীদের জানপ্রাণ লড়াইয়ে দুই সপ্তাহ পরও নিউ সাউথ ওয়েলস এখনও ৫৫টি দাবানলে জ্বলছে। ধোঁয়াশার সঙ্গে আসা দূষিত বস্তুকণা মানবদেহের রক্তে মিশে যাওয়ার ফলে যে স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে তার কারণেই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
নর্থ সাউথ ওয়েলস ও সাউথ অস্ট্রেলিয়া রাজ্য কর্তৃপক্ষ ধোঁয়াশার কারণে চালকরা দৃষ্টিসীমা নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন জানিয়ে গাড়ি চালানোর সময় সতর্কতা অবলম্বনে পরামর্শ দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন