বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মধুচন্দ্রিমায় হঠাৎ ছেদ কেন প্রশ্ন রিজভীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:৫৬ পিএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিস্ময়কর একটি সংবাদ করেছে পার্শ্ববর্তী দেশের সংবাদপত্র। শেখ হাসিনাকে সেখানে শীতল অভ্যর্থনা দিয়েছে। এই সংবাদ বিস্ময়কর এজন্য যে, ভারতের সাথে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘদিনের মধুচন্দ্রিমা। এই মধুচন্দ্রিমায় হঠাৎ করে ছেদ কেন হলো? এটাই আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আমরা শুনেছি জ্ঞাতস্বারে অনেক চুক্তি হয়েছে এবং অজ্ঞাতস্বারেও অনেক চুক্তি করা হয়েছে। আমরা এও দেখেছি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের আসাম, ত্রিপুরায় পণ্য পরিবহন হবে সেখানে প্রথমে নির্ধারণ ছিল ১০৫৪ টাকা ট্রানজিট ফি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ভারতের প্রতি আনুগত্য, ভালোবাসা, দিল্লির প্রতি প্রেমের কারণে মাত্র ১৯২ টাকায় চুক্তি করেছেন। এতো দিয়েছেন, এতো প্রেম নিবেদন, কিন্তু এই বৈষব প্রেমের হঠাৎ এই ছেদ কেন? এটা বিস্ময়কর মনে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় গেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের কোন কেবিনেট মন্ত্রী বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কেউ তাকে অভ্যর্থনা জানায়নি। এতোকিছু দেয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী সে দেশে অভ্যর্থনা পাচ্ছেন না কেন?

বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা নিজের দেশ, জনগণ, মাটি, পানির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে সেই বিশ্বাসঘাতকদের পরিণাম এরকমই হয়। তারা নিজেরই বিশ্বাস ঘাতকতার শিকার হয়।

খালেদা জিয়া চিকিৎসা পাচ্ছে না মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়া। তার চিকিৎসা হচ্ছে না। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। একটা অন্যায়, সাজানো মামলায় বেগম জিয়াকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। এই ধরণের মামলায় অতীতে অনেকের জামিন হয়েছে। দেশের কোটি কোটি জনতা তার পক্ষে আর শেখ হাসিনা এই যে বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তা, তাদের ভালোবাসা, সমর্থন এটার জন্য প্রতিহিংসায় বন্দি রেখেছেন। আমরা তার মুক্তি চাই, তার মুক্তির ধ্বনি শুধু বাংলার আকাশে-বাতাশে প্রতিধ্বনিত হবে না, এবার লৌহ কারাগার ভেঙে বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের সংগ্রামী মানুষ মুক্ত করবে।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপিসাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম ও মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল্লাহ হাসানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, ফজলুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু।

বিএনপির অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বজলুল বাসিত আনজু, নবী উল্লাহ নবী, সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, আনোয়ার হোসেন, সুলতানা আহমেদ, হাসান জাফির তুহিন, হেলেন জেরিন খান, আবদুর রহিম, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, রফিকুল আলম মজনু, শফিকুল আলম মিল্টন, এস এম জিলানী, ফখরুল ইসলাম রবিন বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বিএনপির সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শিরিন সুলতানা, শাম্মী আখতার, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুল হক নান্নু, শামীমুর রহমান শামীম,আবদুল আউয়াল খান, আনিসুর রহমান তালুকদার, মামুন বিন আব্দুল মান্নানসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন