শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

অবরুদ্ধ কাশ্মীরের মিল রয়েছে গাজা অবরোধের : মাপিম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

মালয়েশিয়ান কনসালটেটিভ কাউন্সিল অব ইসলামিক অর্গানাইজেশান (মাপিম) কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে গাজায় ইসরাইলের অবরোধের সাথে তুলনা করেছে। ভারতের মুসলিম সংখ্যাগুরু কাশ্মীর ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ হয়ে আছে। মাপিম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আজমি আব্দুল হামিদ রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সেখানে যে অবরুদ্ধ অবস্থা বিরাজ করছে, সেটার কারণে সেখানে প্রাণক্ষয়ের মাত্রা বেড়েছে এবং কাশ্মীরী বেসামরিক জনগণের টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, “এই অবরোধ আর আটকাবস্থার অবসান ঘটতে হবে। কাশ্মীরীদেরকে তাদের স্বাধীকারের অধিকার অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে, জাতিসংঘ সিকিউরিটি কাউন্সিলের ৪৭ নম্বর প্রস্তাবনায় যে অধিকার তাদেরকে দেয়া হয়েছে”। ১৯৪৮ সালের এপ্রিলে গৃহিত ওই প্রস্তাবে ভারত ও পাকিস্তানে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য জাতিসংঘ কমিশন গঠন করা হয় এবং কাশ্মীরীদের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য গণভোটের প্রস্তাব দেয়া হয়। স¤প্রতি সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়া হয়েছে, এবং এর পর থেকেই আট মিলিয়ন কাশ্মীরী প্রায় এক মিলিয়ন ভারতীয় সেনার কঠোর প্রহরা ও দমন নীতির মধ্যে বাস করছে। জম্মু ও কাশ্মীর এই মুহ‚র্তে বিশ্বের সবচেয়ে চরম সামরিকায়িত অঞ্চল। আজমি কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, সেখানে চলাফেরার সুযোগ নেই, কোন সেবার সুবিধা বা যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু নেই। সেই সাথে সেখানে অপহরণ, ধর্ষণ ও মসজিদে নামাজের অনুমতি না দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বে এখন কাশ্মীরে শুধু অবরুদ্ধ অবস্থাই দেখছে না, বরং সেখানে এমনকি শিশুদের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাস দমনের নামে ষাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। সেখানে অহরহই শিশুদের অন্ধ করে দেয়া বা তাদের অপহরণের মতো ঘটনা ঘটছে। স্কুুলগুলো কাজ করছে না। বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে শিশুরা স্কুলে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। আজমি বলেন, “মানুষের নিখোঁজ হওয়া এবং জোরপ‚র্বক গুম করার ঘটনা ব্যাপক বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে। অসহায় এই জণগোষ্ঠির বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনারা সর্বোচ্চ পর্যায়ের বর্বরতা নিয়ে হামলে পড়েছে”। গাজা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, গাজাকে সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগার বলা হয় যেখানে দুই মিলিয়নের মতো মানুষ রয়েছে। এখানকার পরিস্থিতিও অত্যন্ত জটিল। আজমি জোর দিয়ে বলেন, “গাজার মানুষ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের শিকার: স্কুল, হাসপাতাল, স্যানিটেশান, বিদ্যুৎ, পানি ও আবাসন সুবিধার সবখানেই হামলা হচ্ছে। এর ফল ভয়াবহ। বেকারত্বের হার সেখানে অনেক বেশি”। মাপিম সে কারণে বিশ্ব স¤প্রদায়ের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে যাতে কাশ্মীরের অবরুদ্ধ অবস্থা আর দীর্ঘায়িত হতে না দেয়া হয় এবং একই সাথে গাজায় অবরুদ্ধ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনিদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হয়। এসএএম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
jack ali ২৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:২৯ এএম says : 0
May Allah [SWT] destroy them because O' Allah our muslim ummah is friends of Kafir as such they are carried out such heinous atrocities''''''' Please Allah [SWT] use your heavenly force to destroy them.
Total Reply(0)
jack ali ২৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ পিএম says : 0
O'Allah [SWT] help our oppressed brother/sisters around the world....
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন