মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

প্রশ্নপত্রে আবরার ফাহাদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৯, ২:২২ পিএম

বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের প্রসঙ্গ নিয়ে বিভিন্ন কলেজের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পর এবার আরও দুটি কলেজে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে নিয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে।

কলেজ দুটি হলো- লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের হাজিরহাট উপকূল সরকারি কলেজ ও কুষ্টিয়ার কুমারখালি সরকারি কলেজ।

মঙ্গলবার বুয়েট শিক্ষার্থীদের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

‘প্রশ্নপত্রে আবরার...জাতির জন্যই আজ কঠিন এক প্রশ্ন হয়ে আছে আমাদের প্রিয় আবরার’ শীর্ষক শিরোনামের সঙ্গে প্রশ্নপত্র দুটিও জুড়ে দেয়া হয়েছে পেজে।

এরমধ্যে হাজিরহাট উপকূল সরকারি কলেজের ইংরেজি পরীক্ষায় আবরারকে নিয়ে শুন্যস্থান পূরণের প্রশ্ন করা হয়েছে।
প্রশ্নটি হলো- ‘Read text and fill the gaps with the correct form of verbs as per subject and context.

‘Abrar Fahad (a)...(be) a genius (b)...(read) in Buet. He was mercilessly (c)...(beat) for (d)...express his opponion on facebook. A miscreant or wrongdoer (e)...(have) no party but the killers of Abrar (f)...(commit) the offence in the name of Bangladesh Chhatra League. The whole nation was unspeakably (g)...(shock) at this brutal (h)...(kill). Our beloved leader Sheikh Hasina immediately (i)...(order) the law enforcers (j)...(arrest) the scoundrel as early as possible.’

আর কুমারখালি সরকারি কলেজের বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যুতে জাতি....’ নিয়ে একটি ক্ষুদে গল্প লিখতে বলা হয়েছে।


এর আগে আবরার ফাহাদকে নিয়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তশ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ইংরেজি প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়।

এতে আবারারের ওপর একটি প্যাসেজ দিয়ে সে আলোকে প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়।

গত ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনে নিহত হয়েছেন।

প্যাসেজে লেখা হয়, আবরার ফাহাদ ১৯৯৯ সালে কুষ্টিয়ার রায়ডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বরকতুল্লাহ এবং মাতা রোকেয়া খাতুন। তার ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ।

তিনি বাবার-মায়ের প্রতি কর্তব্যপরায়ণ ছিলেন। ছাত্র হিসেবেও ছিলেন খুব মেধাবী এবং বুদ্ধিমান। তিনি এসএসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

এতে বলা হয়, আবরার তার স্বপ্ন পূরণের জন্য বুয়েটে ভর্তি হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরাবাংলা হলে থাকতেন। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

প্যাসেজে আরও উল্লেখ করা হয়, শৈশব থেকেই আবরার ফাহাদ নম্র-ভদ্র ও ধর্মীয় জীবন যাপন করতেন।

প্রসঙ্গত গত ৫ অক্টোবর দিল্লিতে হায়দ্রারাবাদ হাউসে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এসব চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ।

পরদিন রাতে বুয়েট শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন