বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুদকে বিডিনিউজ সম্পাদক খালিদীকে জিজ্ঞাসাবাদ

অর্ধশত কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

৫০ কোটি টাকার সামঞ্জস্যহীন অর্থ লেনদেন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

গত ৫ নভেম্বর তাকে একবার তলবি নোটিশ দেয়া হয়। ওই নোটিশে তাকে ১১ নভেম্বর দুদকে হাজির হতে বলা হয়। এ সময় তিনি সময় চেয়ে আবেদন করলে ১২ নভেম্বর দ্বিতীয়বার তলবি নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশে দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়। চিঠিতে বলা হয়, খালিদীর নিজের এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হিসাবে ‘বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন এবং বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে তার বক্তব্য জানা প্রয়োজন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তৌফিক ইমরোজ খালিদী দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। আমার যেহেতু কিছু মালিকানা (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে) ছিল। সেটার একটি অংশ আমি বিক্রি করেছি। সেটা থেকে কিছু টাকা আমার অ্যাকাউন্টে এসেছে। ৩ অক্টোবরে কাগজপত্র সই করা হয়েছে, ৬ অক্টোবর আমার অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে। সেই টাকার যে আয়কর দিতে হবে তা আমি নিশ্চয়ই দেবো। ২০১৯-২০ অর্থবছরের যে আয়কর হবে আমি সেটা দেবো। আমাকে কেউ কোনোদিন বলতে পারবে না যে, আমি ঠিকমতো আয়কর দিই না। তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, যেটা হয়েছে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। সেই বিনিয়োগের একটি অংশ হচ্ছে, আমরা নতুন শেয়ার ইস্যু করে তাদের কাছে দিয়েছি। আমার অল্প মালিকানায় যেটা আছে, সেটার একটা অংশ বিক্রি করেছি। তাতে আমার একেবারে সম্পদহীন অবস্থা থেকে সম্পদ তৈরি হয়েছে, এতে অবৈধ সম্পদ অর্জন কী করে হলো?

জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল, সে ব্যাপারে কমিশনে একটা অনুসন্ধান চলমান আছে। কোনো অভিযোগ এলে কমিশন তা যাচাই-বাছাই করে সেটি অনুসন্ধান করে থাকে। আশা করি অনুসন্ধান করে প্রকৃত বিষয় বেরিয়ে আসবে।

প্রসঙ্গত বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডট কমের সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে ‘এলআর গ্লোবাল’ নামক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা নিজ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের (মানিলন্ডারিং) অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পদ্মা ব্যাংকের কাছ থেকেও অর্থ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। যদিও খালিদী এই অর্থকে নিজ প্রতিষ্ঠানে ‘বিনিয়োগ’ বলে দাবি করেছেন। মূলত এলআর গ্লোবাল নামক প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ স্টক একচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। অস্বাভাবিক লেনদেনের এ তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এন্টি মানিলন্ডারিং ইউনিট দুদকে পাঠায়। বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Faruk Ahmed ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
দুদক হঠাৎ করে মিডিয়ার পেছনে লাগলো কেন???
Total Reply(0)
নীল প্রজাপতি ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
দুদক নিজেই একটি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান।
Total Reply(0)
Nor Alam ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
দুদক সুদু বিরুদি দলকে দেখে সরকার জে দুরনিতি করে সেটাদেখে না
Total Reply(0)
মহিউদ্দিন আতিক ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
দুদক এর র্দুনীতি নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্হার মাধ্যমে তদন্ত করলেই বুঝা যাবে র্দুনীতি প্রতিরোধে দুদক কতটুকু র্কাযকর।
Total Reply(0)
Iftekhar Azom ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
দুর্নীতিদমন কমিশন একটা অকার্যকর প্রতিস্টান।
Total Reply(0)
Md Hakim ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
সাবেক দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছিলেন এ কমিশন নখ্ দন্তহীন একটি প্রতিষ্ঠান, তা শতভাগই সত্যি
Total Reply(0)
Asadullah Galib ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
দুদক নিজেই যেখানে অপরাধে জড়িত সেখানে অন্যদের বেলায় কী করবে৷ স্বাধীন ভাবে কাজ করতে হলে নিজেরা অন্তত দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে হবে৷
Total Reply(0)
Md Jahid Hossain ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
দুদককে আগে বিশ্বাস করতাম। এখন করিনা তার কারন খালেদা জিয়ার মামলা জামিন না পাওয়া। দুদকের কর্মকর্তা সরাসরি দুর্নিতে জরিতো।
Total Reply(0)
Billal Hosen ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৯:১৩ এএম says : 0
আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালালে অনেক এমপি-মন্ত্রীর তো তাহলে যাবজ্জীবন হবে ছাত্রলীগের দায়িত্ব ছেড়েছি প্রায় চার বছর। এতদিন যাবত দেশের বাহিরেই থাকি, মাঝখানে ছাত্রলীগের সম্মেলনে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সব মিলিয়ে তিন/চার মাস দেশে ছিলাম। দায়িত্বে থাকার সময় টেন্ডার, চাঁদা, তদবির, কমিটি বাণিজ্য কোনটিই করিনি। তারপরেও দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছেন অবৈধ সম্পদের খোঁজে। কোন অন্যায় না করে এতোবড় কষ্টের দায় কেন নিতে হচ্ছে জানি না। কষ্ট পাচ্ছি না, নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে। এই চার বছরে ধার করেছি প্রায় অনেক টাকা। আমার পাওনাদারও আছেন আমার ফ্রেন্ডলিস্টে, তাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছি। ফেরত দিবো বলে তারাও ত্যক্ত-বিরক্ত আমার প্রতি। তবে কি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিল এই কারণেই আমার শাস্তি? সম্রাট ভাই আমাকে আদর করতো, স্নেহ করতো। রাজনীতির মাঠেই তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়েছিল। সম্রাট ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এই কারণে দুদক আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালালে অনেক এমপি মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের তো তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। কারণ... প্রায় সবাই দুধে ধোয়া তুলসিপাতা। (সিদ্দিকী নাজমুল আলমের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন