বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পুশ ইন নিয়ে কিছু জানি না

সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

ভারত থেকে পুশ ইনের বিষয়ে সরকারিভাবে আমি কিছু জানি না, বিষয়টি পত্রপত্রিকায় দেখেছি। এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।

কয়েক দিন ধরে ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশ ইন হচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঠিক বুঝি না এনআরসির (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) আতঙ্কটা ওদের হবে কেন? এখনো তো এনআরসি...২৭...৩৪ বছর লেগেছে তালিকাটা করতে। প্রসেসে অনেক কিছু আছে। আর ভারত সরকার আমাদের বারবার অঙ্গীকার করেছে ওয়াদা দিয়েছে এনআরসি অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা কোনোভাবেই বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলবে না। পত্র পত্রিকায় দেখছি যে নাকি পুশ হচ্ছে। কিংবা ভয়ে লোক আসছে-যাচ্ছে। আমি ঠিক জানি না। এটা নিয়ে আমাদের আলাপ আলোচনা করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, বাংলাদেশ ও ভারত বড় সমস্যাগুলো মোটামুটি আলোচনার মধ্যে শেষ করেছে। দুই দেশের মধ্যে যে ধরনের পারস্পরিক আস্থা ও আত্মবিশ্বাস, অন্যান্য প্রতিবেশীর মধ্যে তা খুব কমই আছে। কাজেই ছোটখাটো যে বিষয়গুলো হবে তা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দূর হয়ে যাবে। এ সমস্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই ভারত সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এনআরসি নিয়ে তাদের প্রশ্ন করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, পুশ ইনের কথা শুনছি মিডিয়া থেকে। আমরা ঠিক এখনো সরকারিভাবে জানি না। ইদানীং পত্রপত্রিকায় অনেক কিছু বের হয়। কিছু সত্য, কিছু মিথ্যা। আর কিছু একটু অতিরঞ্জিত। আমাদের এগুলো জানতে হবে। পুরোপুরি ইস্যুটা বুঝতে হবে। তখন আমি হয়তো এ সম্পর্কে আলোচনা করতে পারব।
(পুশ ইন সম্পর্কে) যশোর ও ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসকেরা প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এগুলো সরকারিভাবে জানতে হবে। তখন আমরা এ সম্পর্কে আলাপ করতে পারব।
সীমান্ত থেকে লোকজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, না জানলে আমরা কীভাবে বলব। বিজিবির কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাননি বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা নজরে আসে। ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে এ মাসের ১০ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত অন্তত ২০৩ জন ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এ ছাড়া গত শনিবার বেঙ্গালুরু থেকে ৫৯ জনকে আটক করে কলকাতায় আনা হয় বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য। কলকাতার মানবাধিকার কর্মীদের প্রতিবাদের মুখে এখন পর্যন্ত তাদের পশ্চিমবঙ্গে রাখা হয়েছে। এদিকে গত রোববার বেনাপোলের গাতিপাড়া সীমান্তের আমবাগান থেকে পুলিশ ৩২ জনকে আটক করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন