‘যখনই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, এ সব অপরাধীকে দ্রুত বিচার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আজ প্রধানমন্ত্রীর কথাই সত্য প্রমাণ হয়েছে। সারা বিশ্বের কাছে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, বাংলাদেশে এ রকম হত্যাকাণ্ড হলে তার বিচার অত্যন্ত দ্রুত হয়।’- হলি আর্টিজান মামলার রায় প্রকাশের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেছেন।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমানের আদালতে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলতে চাই, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আরও বলতে চাই, এরকম চাঞ্চল্যকর যে সব মামলা দেশের শেকড়ে গিয়ে ধাক্কা দেয়, সে সব মামলা দ্রুত শেষ করতে পারছি। সেটাও মনে হয় সন্তুষ্টির কারণ।’
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আনিসুল হক বলেন, ‘সেখানে ইতালীয়, জাপানি ও বাংলাদেশি নাগরিকসহ পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তারা ছিলেন। ঘটনা ঠেকাতে চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেরা প্রাণ দিয়েছেন।’
এদিকে বিচারে এক আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখনও জাজমেন্ট পড়িনি। কেন খালাস পেল জাজমেন্ট দেখে নিই তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
আইনমন্ত্রী জানান, ‘মৃত্যুদণ্ডের রায় ডেথ রেফারেন্স হিসেবে সাতদিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে চলে যাবে। সেখানে গেলে পেপারবুক তৈরি হবে। এটার বিচার সেখানেও যাতে দ্রুত শেষ হয় আমি চেষ্টা করব। এর আগেরবার নুসরাত হত্যা মামলায় রায়ে যে কথা বলেছি, দ্রুত পেপারবুক তৈরি করে হাইকোর্টের তালিকায় আনা যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন