নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্টজাল এবং অবৈধ পলিথিন পরিবহনের অপরাধে বরিশালে পার্সেল ও কুরিয়ার সার্ভিস, এসএ পরিবহনের ম্যানেজার সহ তিন জনকে পৃথক মেয়াদে করাদন্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জব্দ করা হয়েছে প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও দেড়টন নিষিদ্ধ পলিথিন।
বৃহস্পতিবার দুপরে জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পৃথক দুটি অভিযান পরবর্তী মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আটককৃত তিন জনকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের জানান, ‘ঢাকা থেকে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বরিশালে এসেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশের সহায়তায় নগরীর পুলিশ লাইন সংলগ্ন এস এ পরিবহন কার্যালয়ে অভিযান চালান হয়। সেখান থেকে ১১টি বস্তায় ১১ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ২০ লাখ টাকা’। তিনি জানান, ‘কারেন্ট জালের এর মালিককে পাওয়া যায়নি। তবে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পার্সেল এবং সরবরাহে সহযোগিতার অভিযোগে পার্সেল সহকারী মো. বেল্লাল হোসেনকে আটক করা হয়’।
পরে তাকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম শামীমের মোবাইল কোর্টে হস্তান্তর করা হয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটককৃত বেল্লাল হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অপরদিকে একই সময় এসএ পরিবহন বরিশাল কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর ১৫ বস্তায় দেড় টন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করে। এ ঘটনায় এসএ পরিবহন বরিশাল কার্যালয়ের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম ও পলিথিনের মালিক বরিশাল নগরীর বাজার রোড এলাকার আয়েশা ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মজিবুর রহমানকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৪৫ দিনের কারাদন্ড দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন