হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস দিয়ে প্রাথমিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে মাড়ি ও ঠোঁটে সংক্রমন দেখা দিতে পারে যা জিনজাইভো স্টেমাটাইটিস নামে পরিচিত। অনেক সময় শিশুদের ক্ষেত্রে মাড়িতে এ অবস্থার সৃষ্টি হলে মনে হতে পারে যে তাদের দাঁত উঠছে। বার বার হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ঠোঁটে ফুসকুড়ি হতে পারে এবং প্রদাহ দেখা দিতে পারে যা চিলাইটিস নামে পরিচিত। সাধারণত মানুষের কাছে এ অবস্থাটি জ্বরঠোসা নামে অধিক পরিচিত। তবে সিফিলিসের কারণেও ঠোঁটে ঘা দেখা দিতে পারে।
প্রজনন অঙ্গের বাইরে সবচেয়ে বেশি সিফিলিসের লক্ষণ দেখা যায় পুরুষদের উপরের ঠোঁটে এবং মহিলাদের নীচের ঠোঁটে। এ সময় ঠোঁটে ক্ষত দেখা দিতে পারে। হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ-১ সাধারণত ঠোঁটকে আক্রান্ত করে যা কোল্ড সোর নামে পরিচিত। হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের মাধ্যমে ফ্যারিনজাইটিস, গলা ব্যথা সহ আলসার হতে পারে। হিউম্যান প্যাপিওলোমা ভাইরাস মুখের অভ্যন্তরে জেনিটাল ওয়ার্টস বা গোটার সৃষ্টি করে থাকে। মুখের অভ্যন্তরে আলসার যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে সেক্ষেত্রে দেখে নেওয়া ভাল যে আলসারটি ভাইরাস জণিত কিনা? কারণ সাইটোমেগালো ভাইরাসের কারণে আলসার হলে তা সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। এপস্টেন বার ভাইরাসের কারণে জিহ্বায় হেয়ারী লিউকোপ্লাকিয়া নামক সমস্যা দেখা দিতে পারে। জিহ্বার অবস্থানরত প্যাপিলাগুলো চুলের রংয়ের মত কালো বর্ণ ধারণ করে এবং ধীরে ধীরে পরিস্থিতির অবনতি হয়ে থাকে। হেয়ারী লিউকোপ্লাকিয়া জিহ্বায় পাওয়া গেলে একজন রোগীর অবৈধ যৌন সম্পর্কের ইতিহাস থাকলে অবশ্যই দেখে নিতে হবে রোগীর শরীরে ঐ ভাইরাস আছে কিনা?
ওরাল লাইকেন প্ল্যানাস এর সাথে ক্রনিক লিভার রোগের যোগসূত্র বিশেষ করে হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাসের সম্পর্ক থাকতে পারে। বিশেষ করে ক্ষতযুক্ত ওরাল লাইকেন প্ল্যানাস এর ক্ষেত্রে বায়োপসি করার পূর্বে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আছে কিনা দেখে নেওয়া ভাল। এ ছাড়া লিভারের কোন সমস্যা আছে কিনা তাও দেখতে হবে। তাই আপনার মুখের আলসার যদি ভাইরাসজনিত হয়ে থাকে তাহলে কারণ নিরূপণ করে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল : ০১৮১৭৫২১৮৯৭
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন