শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দক্ষিণ চীন সাগরে ফের উত্তেজনা

প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ এলাকায় ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিতর্কিত একটি দ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় সমুদ্রে চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে একটি মার্কিন রণতরী কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পেন্টাগণ বলছে, ওই এলাকায় প্রবেশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের চেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই এই অবস্থান। ওই নৌযানটি প্যারাসেল আইল্যান্ডের ট্রিটন দ্বীপের কাছাকাছি পৌঁছে যায় বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এই দ্বীপের অন্যতম দাবিদার চীন এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ তুলেছে। প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের কর্তৃত্ব নিয়ে চীনসহ আরো কয়েকটি জাতির মধ্যে বিরোধ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আঞ্চলিক এই বিরোধে তারা কোনোভাবে জড়াতে চায় না। তবে ওই গুরুত্বপূর্ণ নৌ রুটটিতে অবাধ প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় ওয়াশিংটন। পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস বলেন, চীন, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনাম এই তিন দাবিদারের পক্ষ থেকে নৌ-যোগাযোগের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ করতেই এমন পদক্ষেপ। বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ‘ইউএসএস কার্টিস উইলবার’ ট্রিটন আইল্যান্ডের বারো কিলোমিটারের মধ্যে নোঙর করে এবং সেসময় ওই এলাকায় কোনও চীনা জাহাজ ছিল না। তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে পূর্ব অনুমতি না নিয়ে চীনের নৌসীমায় প্রবেশ করে আইন ভেঙেছে। আগে থেকে কোনও দাবিদারকেই যে বিষয়টি জানানো হয়নি তা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তারা বলছে, মার্কিন এবং আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সামঞ্জস্য মেনেই তারা এই অভিযান চালিয়েছে। এ ধরনের আরেকটি অভিযানের অংশ হিসেবে গত বছর স্প্রাটলি আইল্যান্ডে রণতরী নিয়ে অভিযান চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময়ও বিষয়টি চীনের সমালোচনার মুখে পড়েছিল।
অপর এক খবরে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত একটি দ্বীপের খুব কাছ দিয়ে মার্কিন গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডেস্ট্রয়ার পাঠানোর কঠোর প্রতিবাদ করেছে চীন। গত শনিবার দক্ষিণ চীন সাগরের পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের ট্রিটন দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যদিয়ে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রবাহী রণতরী ইউএসএস কার্টিস উইলবার অতিক্রম করেছে বলে পেন্টাগন স্বীকার করেছিল। চীনের প্রতিরক্ষা দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এ তৎপরতার মাধ্যমে আইন লঙ্ঘন করেছে। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াং ইউজুন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ তৎপরতা সংশ্লিষ্ট সাগরে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মার্কিন এ জাতীয় পদক্ষেপ সুফলদায়ী নয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বেইজিং প্রায় গোটা দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর নিজের মালিকানা দাবি করছে। চীন ঐতিহাসিকভাবে ওই এলাকার ওপর নিজের সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে। একইভাবে তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম এবং ব্রুনাইও এ সাগরের ওপর নিজেদের মালিকানা দাবি করছে। বিবিসি, সিনহুয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন